প্রতীকী ছবি
কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন কাটোয়া শহরের এক সাফাইকর্মী। অন্য সাফাইকর্মীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহও করা হয়। মঙ্গলবার রাতে জানা যায় ফের এক সাফাইকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু ওই সাফাইকর্মীর দাবি, তিনি লালারসের নমুনা দেননি। হাসপাতালের কাগজেও ওই কর্মীর নামের পাশে ‘অনুপস্থিত’ লেখা রয়েছে। তা হলে কার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এল, চিন্তা বাড়িয়েছে সেই প্রশ্ন। পুর কর্তৃপক্ষেরও আশঙ্কা, যিনি আক্রান্ত তিনি হয়তো রিপোর্ট না জেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে আরও। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
পুরসভার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে প্রায় সাতশো কর্মী রয়েছেন। সাফাইকর্মীরা যেহেতু শহরের নানা এলাকা ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করেন তাই তাঁদের এক জনের করোনা ধরা পড়তেই ধাপে-ধাপে সমস্ত পুরকর্মীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। ১৭ জুলাই অনেক সাফাইকর্মী লালারস দেন। যে সাফাইকর্মীর নামে ‘পজ়িটিভ’ রিপোর্ট এসেছে, তাঁকেও ডাকা হয়েছিল ওই দিন। যদিও তাঁর দাবি, শ্মশানঘাটে কর্মরত থাকায় লালারসের নমুনা দিতে যেতে পারেননি তিনি। তা হলে কী করে তাঁর নামে রিপোর্ট এল, চিন্তিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। ওই সাফাইকর্মী বলেন, “ওই দিন আমি নমুনা দিতে যেতে পারিনি। এ দিকে রিপোর্ট এসেছে, আমি নাকি করোনা-আক্রান্ত।’’
পুরকর্মীদের অভিযোগ, একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারেন। কিন্তু তাঁদের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর আলাদা। তা হলে হাসপাতাল এমন ভুল করে কী করে? যিনি প্রকৃত আক্রান্ত তাঁর খোঁজ না পাওয়া গেলে শহরে আক্রান্ত আরও বাড়বে, দাবি তাঁদের। কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অন্য কারও রিপোর্ট আমাদের এক সাফাইকর্মীর নামে চলে এসেছে। ওই কর্মী এখনও লালারস দেননি। হাসপাতাল সুপার আমাদের সে কথা জানিয়েছেন। এ দিকে, কোন ব্যক্তি যে আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানতে পারছি না। খুব চিন্তায় রয়েছি।’’
কাটোয়া মহকুমা হাপাতালের সুপার রতন শাসমলের দাবি, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাগাদ বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অনেকগুলি পর্যায়ে এই পরীক্ষা করা হয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। ওই সাফাইকর্মীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’’