ঝোড়ো: ধুলোর ঝড় দুর্গাপুরের এনএন বোস রোডে। নিজস্ব চিত্র
দুই বর্ধমানে বাজ পড়ে মৃত্যু হল মোট সাত জনের। শনিবার বিকেলে ঝড়বৃষ্টির সময়ে বজ্রাঘাতে পূর্ব বর্ধমানের নানা এলাকায় তিন জন ও পশ্চিম বর্ধমানে চার জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গাছ পড়ে দুর্গাপুরে এক বালকের মৃত্যু হয়েছে।
এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ ঝড় শুরু হয়। তার পরেই নামে তুমুল বৃষ্টি। ঝড়ে জিটি রোড, ২ নং জাতীয় সড়ক এবং নানা শহরের রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
এ দিন সালানপুরের খুদিকা গ্রামে ঝড়বৃষ্টির সময়ে এক ঝুপড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক জন। তখনই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় শঙ্কর চৌধুরী (১৩) ও সালাউদ্দিন আনসারি (৩৫) নামে দু’জনের। আহত হন বিনয় কুমার নামে এক যুবক। জামুড়িয়ার হিজলগড়া গ্রামে মৃত্যু হয়েছে শেখ আমিনুদ্দিনের (৩৫)। গ্রামের পুরনো হাটতলার কাছে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঝড়ে গাছ পড়ে এক বালকের মৃত্যু হয়েছে দুর্গাপুরের ওল্ড ডিটিপিএস কলোনিতে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রনিত সিংহ (৮)। সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। গুরুতর জখম অবস্থায় বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়।
গলসির পুরসা গ্রামে ডিভিসি সেচখালের কাছে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় রঞ্জিত রুইদাস (২৪) নামে এক যুবকের। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি খেতমজুরের কাজ করতেন। ঝড়বৃষ্টিতে নষ্টের আশঙ্কায় তিনি মাঠ থেকে কাটা ধান আনতে যাচ্ছিলেন। তখনই বজ্রাঘাত হয়। মঙ্গলকোটের বক্সীনগরে বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ আম কুড়োতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কবির মণ্ডল (১৬)। তার বাবা লাল্টু মণ্ডল জানান, বৃষ্টি শুরু হতেই বাড়ির বাইরে বাগানে আম কুড়োতে যায় ছেলে। আউশগ্রামের বেলুটি গ্রামে মৃত্যু হয় বনমালী বাউরি (৫৭) নামে এক ব্যক্তির। স্থানীয় বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান রুহুল আমিন মণ্ডল জানান, মাঠে গরু চড়াতে গিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। ঝড়বৃষ্টির সময়ে গাছের তলায় দাঁড়ান। সেখানেই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পাটুলির দফরপোতা গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে সুবর্ণা কালিন্দি (৩৯) নামে এক বধূর। বিকেলে ধান আনতে মাঠে গিয়েছিলেন তিনি।