পুড়ে ছাই জিনিসপত্র। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
রাতে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল সাতটি দোকান। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে কাটোয়ার পালিটা রোডে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কেউ হতাহত হননি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে পুলিশ ও দমকলের অনুমান।
কাটোয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পালিটা রোডে রাস্তার দু’দিক ঘেঁষেই বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। বুধবার রাতে ওই এলাকায় আগুন ধরে যায় তুলোর গুদাম, আসবাব, মোবাইল-সহ সাতটি দোকানে। একটি বিদ্যুতের পোস্টও পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী আমির শেখ জানান, অন্য দিনের মতোই রাতে নিজের বেডিংয়ের দোকানে শুয়েছিলেন তিনি। রাত আড়াইটের পরে আচমকাই প্রচণ্ড তাপ ও ধোঁয়ায় ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখেন, দোকানের টিনের চাল পুড়ছে। সঙ্গে-সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আশপাশে ডাকাডাকি শুরু করেন। ততক্ষণে অবশ্য পাশের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর চিৎকারে পাশের একটি সরকারি আবাসন থেকে লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বাড়ি কেশিয়াপাড়ায়। নিসারুল শেখ, বিল্লাল শেখেরা জানান, বছর ছয়েক ধরে ব্যবসা করছেন এখানে। আগে এরকম ঘটেনি। তাঁদের অভিযোগ, দমকলে বারবার ফোন করা হলেও কেউ তোলেননি। পুলিশে খবর দেওয়ার পরে তারা দমকলকে ডাকে। ঘণ্টাখানেক পরে দমকল আসে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। ধ্বংসস্তূপ সাফ করতে-করতে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী হাসিবুল, আমিররা বলেন, ‘‘কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস পুড়ে ছাই হয়েছে।’’
ঘটনাস্থল থেকে দমকল দফতর কিলোমিটার দুয়েক দূরে। তবে দেরিতে আসার অভিযোগ মানতে চাননি দমকলের কর্তারা। দমকলের কাটোয়ার ওসি সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিএসএনএলের নেটওয়ার্কে গণ্ডগোলের জেরে ফোন আসতে দেরি হতে পারে। তবে ফোন পেয়েই আমরা পৌঁছে গিয়েছি।’’ দোকানগুলির টিনের চাল ও ভেতরে প্রচুর তুলো থাকায় আগুন সহজে ছড়িয়েছে বলে জানান তিনি। এসডিপিও (কাটোয়া) ত্রিদিব সরকার বলেন, ‘‘শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।’’