তিন জন পড়ুয়াকে স্কুটিতে চাপিয়ে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চালকের। জখম চার খুদে পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেতুগ্রামের মাসুন্দি গ্রামের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ রাজুরের বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণির আসরাফুল শেখ, কেজির ছাত্রী সোহানা খাতুন ও প্রথম শ্রেণির আজিম শেখকে স্কুটিতে চাপিয়ে কান্দরায় স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন অনুপ মণ্ডল (৩২) নামে এক ব্যক্তি। মাসুন্দি পল্লিমঙ্গল সমিতি লাগোয়া বলখেলার মাঠের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে স্কুটির সামনে গ্রামেরই প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র প্রবীর মাঝি আচমকা এসে পড়ে। অনুপবাবু ওই ছাত্রকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি-সহ মাঠে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পেশায় পুলকারের চালক, শ্রীপুরের বাসিন্দা অনুপবাবুর। দুর্ঘটনায় জখম হয় স্কুটিতে থাকা তিন খুদেও। মাথায় গুরুতর চোট পায় প্রবীরও। আসরাফুল, সোহানা, আজিমকে কান্দারা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রবীরকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাত মাঝি, এককড়ি হালদারদের দাবি, এ দিন স্কুলে দেরি হওয়ায় পুলকারের বদলে স্কুটিতে করে পড়ুয়াদের পৌঁছে দিচ্ছিলেন। মাঝেসাঝেই এমন ভাবে পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি। পুলিশ জানায়, অনুপবাবুর মাথায় হেলমেট ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা রতন মাঝি, নবীন ধাড়াদের আক্ষেপ, ‘‘হেলমেট থাকলে হয়তো প্রাণটা বাঁচত। বাচ্চাগুলোকেও হেলমেট পরানো উচিত ছিল।’’ পড়ুয়াদের নিয়ে এমন ভাবে যাতায়াত করায় প্রশ্ন উঠেছে স্কুলের ভূমিকা নিয়েও। যদিও কান্দরার ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা মল্লিকের বক্তব্য, ‘‘বাচ্চাদের এ ভাবে স্কুলে পৌঁছনোর বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এরপরে যাতে কোনও বিপত্তি না হয়, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’