—প্রতীকী ছবি।
বাজারে বিক্রি হচ্ছে লটারির টিকিট। কিন্তু সেই টিকিটের খেলাই হচ্ছে না! ফলে এই সব লটারি যাঁরা কেনেন, কোনও দিনই পুরস্কার পান না। অথচ সেই পুরস্কারের প্রাপ্তির লোভেই দিনের পর দিন এই চক্রের পাল্লায় পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতারণার একাধিক অভিযোগের তদন্তে নেমে চার জনকে গ্রেফতার করল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কুলটি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম অভিজিৎ মাজি, শচীন মাজি, দিলীপ বল ও সুরজ নুনিয়া। চার জনেরই বাড়ি কুলটি থানা এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে সব লটারি বিক্রি হচ্ছে বাজারে, তার একটা বড় অংশের টিকিটে খেলাই হচ্ছে না। ফলে টিকিট কিনলেও পুরস্কার জুটছে না। অথচ ভাগ্যের দোহাই দিয়ে আবার টিকিট কিনছেন ওই ক্রেতারা। ফের নিঃস্ব হচ্ছেন। তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, জাল লটারির কারবার অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নামী লটারি জাল করে ছাপিয়ে কম দামে বাজারে বিক্রির বহু চক্রই সক্রিয় সারা দেশ জুড়ে। তবে আসানসোলে যে চক্র কাজ করছে, সেটি ঝাড়খণ্ড থেকে নিয়ন্ত্রিত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘বহু মানুষ এই ফেক লটারির জন্য প্রতারিত হচ্ছিলেন। বহু অভিযোগ পাচ্ছিলাম। গোপন ভাবে এই লটারি টিকিট বিক্রি হত। কুলটি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাবে পুলিশ।।’’
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতেও আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়ার বাজার ছেয়ে গিয়েছিল ‘ঝাড়খণ্ড লটারি’র জাল টিকিটে। দেখা গিয়েছিল, যেখানে অন্যান্য লটারির টিকিট ছ’টাকায় বিক্রি হয়, সেখানে এই ঝাড়খণ্ড লটারির একটি টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়! লটারির পুরস্কারের অঙ্কও বেশি। এই প্রলোভন দেখিয়ে দেদার বিক্রি হচ্ছিল জাল লটারি। সে বার পুলিশি অভিযানে পশ্চিম বর্ধমান থেকে গ্রেফতারও হয়েছিলেন ১২ জন।