ফাইল চিত্র
আসানসোল জেলা হাসপাতালের ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ডে শুক্রবার চার জনকে ভর্তি করানো হল। এর মধ্যে তিন জন আসানসোলের বাসিন্দা। অন্য জনকে দুর্গাপুর থেকে পাঠানো হয়েছে। এ দিন জেলা হাসপাতালের ‘কোয়রান্টিন’ ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে আসানসোলের আরও এক ব্যক্তিকে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের রাহালেন লাগোয়া অঞ্চলের একটি পরিবহণ সংস্থায় কর্মরত এক ব্যক্তি সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে নিজের দেশের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। পরে তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে বলে ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। এই খবর পাওয়া মাত্রই আসানসোলে খোঁজ খবর শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, হাজারিবাগের ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও সাত জন আসানসোলে কাজ করতেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা তাঁদেরও খোঁজ শুরু করেন। এঁদের মধ্যে পাঁচ জনের হদিস মিলেছে। তাঁদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
জেলা হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, ওই পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনকে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ রাখা হয়েছে। বাকি দু’জনের মধ্যে এক জনকে হাসপাতালের ‘কোয়রান্টিন ওয়ার্ড’-এ রাখা হয়েছে। এক জনকে ‘গৃহ পর্যবেক্ষণে’ (‘হোম কোয়রান্টিন’) রাখা হয়েছে। দুর্গাপুর থেকে আসা ব্যক্তিরও কিছু উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ওই কর্মীরা যে এলাকায় বসবাস করতেন সেখানে জীবাণুনাশক স্প্রে করছে আসানসোল পুরসভা। অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানিয়েছেন, জেলায় একটি করোনা হাসপাতাল বানানো হয়েছে। কাঁকসার ওই হাসপাতালে তিনশো শয্যা রয়েছে। আইসিইউতে রয়েছে ৭৪টি শয্যা। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালটি প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যাবে।’’ এ ছাড়া, ২২টি প্রশাসনিক ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে শয্যা সংখ্যা প্রায় ১,১০০। অতিরিক্ত জেলাশাসক জানান, শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিদেশ থেকে আসা ৩৬ জনকে ‘গৃহ পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়েছে। ১৪ দিনের নির্দিষ্ট সময় সীমা পার করায় ২৪৭ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। অন্য দিকে, এ দিন পর্যন্ত ভিন্-জেলা থেকে আসা ১,৮৮৫ জনকে ‘গৃহ পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়েছে। ১৪ দিনের সময় সীমা পার করায় মুক্ত করা হয়েছে ৮৮৩ জনকে এবং প্রশাসনিক ‘কোয়রান্টিন’-এ রয়েছেন ১৪১ জন।