আবার বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা বাংলায়। শুক্রবার দু’জনের মৃত্যু হল বর্ধমানে। —প্রতীকী চিত্র।
বজ্রপাতে আবার বাংলায় মৃত্যুর ঘটনা। এ বার বর্ধমানে বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক নাবালক-সহ দু’জনের। আহত অন্তত ৪ জন। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার এবং মঙ্গলকোটের ঘটনায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবারের ভাতারের মাহাতা গ্রামের বাসিন্দা বাদকু কালসা(৩৮) সঙ্গীদের নিয়ে মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন। দুপুর নাগাদ বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রাঘাতে জখম হন বাদকু। তাঁকে গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, মঙ্গলকোটের পিলশুয়া গ্রামে ঝড়ের সময় আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়ে বাজ পড়ে ৫ জন জখম হন। তাদের তড়িঘড়ি মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আকাশ শেখ (১২) নামে এক বালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া, আহত অজয় মাজি, বিজয় মাজি, রেজিনা খাতুন এবং ইয়াসিন শেখ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি মঙ্গলকোটের কামালপুরে এক আদিবাসী মহিলা মাঠ থেকে ধান কেটে ফেরার সময় বীরভূমের বাসিন্দা লক্ষ্মী মান্ডি নামে এক মহিলা বজ্রপাতে আহত হন। লক্ষ্মী এখন মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বর্ধমান জুড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বোরো ধান। কাটোয়ার কোশিগ্রামে কেটে রাখা ধানগাছ জলমগ্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। শিলাবৃষ্টির জন্যও পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। চাষিরা জল থেকে ছেঁকে ছেঁকে ধান তুলে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। পাট ও তিলের জমিতেও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কৃষি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর বিঘা বোরো ধানের জমি শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোশিগ্রাম, চুড়পুনি, বাউরো, খয়েরহাট মৌজা মিলে প্রায় কয়েক’শো বিঘা জমি শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে বজ্রাঘাতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাংলায়। এ নিয়ে টুইটারে দুঃখপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।