মুচিপাড়া-শিবপুর রাস্তায় আটক করা হয় এই ট্রাকগুলি। —নিজস্ব চিত্র।
জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) শশাঙ্ক শেঠির নেতৃত্বে ১৬টি অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক আটক করল প্রশাসন। মঙ্গলবার মুচিপাড়া-শিবপুর সড়কে এই অভিযান চলে।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে এই রাস্তায় কাঁকসার ঘটকডাঙা লাগোয়া এলাকায় পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা মারে পুলকারে। জখম হয় দশ জন পড়ুয়া-সহ মোট ১১জন। স্থানীয় বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে দোমড়া রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম বিদ্যাপীঠের পড়ুয়াদের নিয়ে যাচ্ছিল সেটি। পিছনে ছিল ট্রাকটি। মলানদিঘির কাছে অন্য একটি ট্রাককে পাশ কাটানোর পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলকারের পিছনে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। এলাকাবাসী দাবি করেন, ট্রাকটি ‘ওভারলোড’ ছিল। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযানেরও দাবি জানান তাঁরা।
দুর্ঘটনার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করে বাসিন্দাদের একাংশ রাস্তা অবরোধ করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি ট্রাকটিকে ধাওয়া করেছিল। পুলিশকে এড়াতে গিয়েই সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। যদিও পুলিশ টাকা তোলার অভিযোগ মানেনি।
এ দিন সকালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামেন জেলাশাসক। জেলাশাসক জানান, প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের জন্য আটক ১৬টি ট্রাক তুলে দেওয়া হয়েছে কাঁকসা থানার পুলিশ, ব্লক প্রশাসন ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে গড়া টিমের হাতে।
এলাকাবাসী জানান, ‘ওভারলোড’ ট্রাকগুলি বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। ওই সড়কের দু’পাশে বিভিন্ন গ্রাম। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াতের জন্য ওই সড়কটিই ব্যবহার করেন এলাকাবাসী। এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে পাথর ও বালি নিয়ে ট্রাকগুলি চলাচল করায় চাপ পড়ছে রাস্তায়। রাস্তার বিভিন্ন অংশ বসে গিয়েছে।
এ দিন অভিযানের পরে জেলাশাসক জানান, আটক করা পাথরবোঝাই ট্রাকগুলিকে প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ট্রাকেই বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে পাথর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নিয়মিত অভিযানের আশ্বাস দেন তিনি। জেলাশাসক বলেন, ‘‘ওই সড়কে ‘ওভারলোড’ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি জরুরি। মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য বলা হয়েছে।’’