সদস্য হলে চাকরি! অভিযুক্ত বিজেপি

কেন সদস্যপদ বাতিল করলেন দেবব্রত? তিনি জানান, সদস্য হওয়ার পরেই তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, সরকারি চাকরি পেতে গেলে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কেন হতে হবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫০
Share:

জোর করে এক যুবককে নিজেদের দলের সদস্য করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বারাসত ছোট জাগুলিয়ার দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় নামের যুবকটি জানিয়েছেন, তিনি সদস্যপদ নিতে চাননি। বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণের জন্য তাঁকে চাকরির লোভ দেখানো হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের সদস্যপদ বাতিল করতে চান বলে জানান বিজেপিকে।

Advertisement

কেন সদস্যপদ বাতিল করলেন দেবব্রত? তিনি জানান, সদস্য হওয়ার পরেই তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, সরকারি চাকরি পেতে গেলে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কেন হতে হবে? তাতেই মত বদলান তিনি। তাঁর সঙ্গে যে এমন ঘটেছিল, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদেরও জানান দেবব্রত। তাদের মাধ্যমে বিষয়টি পৌঁছয় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে। বিজেপির সদস্য অভিযান নিয়ে তৃণমূল প্রথম থেকেই ভয় এবং প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ তুলছিল। দেবব্রতের এই ঘটনা সামনে আসার পরে তাঁদের সেই অভিযোগ আরও জোর পেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

দেবব্রত যে চাকরির চেষ্টা করছেন, তা এলাকার বাসিন্দাদের অজানা নয়। দেবব্রত জানান, এলাকার বাসিন্দা, বিজেপি নেতা শম্ভু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, বিজেপির সদস্য হলে তিনি সরকারি চাকরি বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

Advertisement

দেবব্রত বলেন, ‘‘একটা স্থায়ী কাজের চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করছি। ভাবলাম, যদি চাকরি পাই, তা হলে জীবনটা অন্য রকম হবে। সেই জন্য সই করে দিই।’’ তবে মত বদলালেন কেন? তিনি বলেন, ‘‘পরে আমার মনে হল, চাকরির জন্য দেশের নাগরিকত্বই তো যথেষ্ট। তার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কেন হতে হবে? তা ছাড়া আমরা সাধারণ মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। যখন যাকে ভাল মনে হয়, ভোট দিই।’’

তৃণমূল নেতার কাছে গেলেন কেন? দেবব্রত জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা হিসেবে নয়, বরুণ বিশ্বাস নামের এক তৃণমূল নেতা তাঁদের পারিবারিক বন্ধু। তিনি বিভিন্ন সময় পাশে থেকেছেন। তাই তাঁকে জানানো দরকার বলে মনে হয়েছে তাঁর। এলাকায় শম্ভুবাবুর খোঁজ মেলেনি। বন্ধ থাকায় মোবাইলেও যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে।

বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রথীন্দ্রনাথ বসু বলেন, ‘‘বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মিথ্যে গল্প সাজানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখন জোর করে কাউকে বিজেপির সদস্য করার দরকার নেই।’’ তিনি জানান, গত ৬ জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে ২৫ লক্ষ নতুন সদস্য মিলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement