নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। — ফাইল ছবি।
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ধৃত দলীয় কর্মীদের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। নওশাদদের হয়ে বুধবার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিচারক সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন।
গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে নওশাদ-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন নাবালকও ছিল। তাকে জুভেনাইল কোর্টে হাজির করানো হলে সেই দিনই তার জামিন হয়ে যায়। বাকি ১৮ জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বার তাঁদের জেল হেফাজত হল।
ঘটনার দিন অর্থাৎ, শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। ওই দিন বিকেলে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয় কলকাতার রাজপথে।
পুলিশের দাবি, শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকায় অফিসের সময়ে অবস্থান তুলে নিতে বলা হয়। কিন্তু আইএসএফের কর্মীরা তা অগ্রাহ্য করেই অবস্থান চালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের তুলতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হন আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আহত হন অনেক পুলিশকর্মী। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এর ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধর্মতলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনার পর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয় নওশাদদের বিরুদ্ধে। তার পরেই পুলিশের গ্রেফতার, পুলিশি হেফাজত এবং অবশেষে জেল হেফাজত হল তাঁদের।