পথে নামছেন বংশীবদনও

অসমে নাগরিকপঞ্জি ঘোষণার পরেই কোচবিহারে তার রেশ পড়ে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পথে নেমে এনআরসির বিরোধিতা করে। সেই সময় এনআরসির দাবিতেই পথে নেমেছিল গ্রেটার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:২৮
Share:

বংশীবদন বর্মণ।

এ বার স‌ংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে চলেছেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন নেতা বংশীবদন বর্মণ। আজ, বুধবার কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে জমায়েত হয়ে মিছিল নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে যাবেন গ্রেটার সমর্থকরা। সেখানে জেলাশাসকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবে গ্রেটার। শুধু তাই নয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে গ্রেটার। বংশীবদন বর্মণ বলেন, “ভারতভুক্তি চুক্তি অনুসারে কোচবিহারে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা যাবে না। এই এলাকার মানুষের মতামত নেওয়ার পরেই তা করা যেতে পারে। তাই আমরা আন্দোলনে নামছি।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, নাগরিকপঞ্জির ক্ষেত্রে তাঁরা নির্দিষ্ট কিছু দাবি রাখবেন। সেখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মতোই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ধরে নাগরিকপঞ্জি তৈরির দাবি রেখেছেন তারা।

Advertisement

অসমে নাগরিকপঞ্জি ঘোষণার পরেই কোচবিহারে তার রেশ পড়ে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পথে নেমে এনআরসির বিরোধিতা করে। সেই সময় এনআরসির দাবিতেই পথে নেমেছিল গ্রেটার। যদিও সেই আন্দোলন খুব একটা দানা বাঁধতে পারেনি। রাজবংশীদের একটি অংশ নথিপত্র জোগাড় করা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন। বিশেষ করে অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাতিলের তালকায় রাজবংশীদের একটি অংশ ছিল। তা জানার পরেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অনেকে।

এ বারে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছে গ্রেটার। গ্রেটার নেতাদের অনেকেই জানান, এ ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে ভূমিপুত্ররা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। তাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এই সময়ে নতুন করে রাজ্যের দাবিও তুলেছেন গ্রেটার নেতৃত্ব। বংশীবদন বলেন, “ভারতভুক্তি চুক্তি অনুসারে কোচবিহার ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য। আগে সেই মর্যাদা দেওয়া হোক। তার পরে আমরা ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার কথা শুনব।”

Advertisement

সংখ্যালঘুদের একটি বড় অংশ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আগেই পথে নেমেছে। এ বারে গ্রেটার এবং রাজবংশী সম্প্রদায়ও আইনের বিরুদ্ধে পথে নামলে স্বাভাবিক ভাবেই তার ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে তৃণমূল। এবং সে কথা বুঝেই কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “কোনও সংগঠন তার কথা বলতেই পারে। কিন্তু এই আইনের পক্ষে মানুষ রয়েছেন। দলে দলে মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাই চিন্তিত নই।” যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মণ বলেন, “ওই আইনের বিপক্ষে সমস্ত মানুষ। রোজ বিজেপি ছেড়ে মানুষ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement