ফাইল চিত্র।
কোভিড-পরিস্থিতিতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা-যাওয়া কার্যত বন্ধ। তবে গত বারের মতো এ বারও পুজোর মরসুমে ইলিশ রফতানির দরজা খুলছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইলিশ রফতানি-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির হাতে এসেছে। দিল্লি থেকে ‘স্যানিটারি ইমপোর্ট পারমিট’ আদায় করে মাছ দ্রুত এ দেশে আমদানির তোড়জোড় চলছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুজো-উপহার হিসেবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো যাবে। ২২ অক্টোবর, দুর্গাপুজোর সপ্তমী। তখন পদ্মার ইলিশ জোগান অটুট থাকার আশা। গত বার ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র মিলেছিল। এ বার মোট ন’টি সংস্থাকে কম করে ১৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ঢাকা। পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ শুক্রবার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ইলিশ আনতে সব রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য।’’
আরও পড়ুন: মতান্তরও রয়ে গেল, পাঁচটি বিষয়ে ঐকমত্য মস্কো-বৈঠকে
আরও পড়ুন: রদবদল কংগ্রেসে, রাহুলের ইচ্ছে মেনেই
ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব তথা হাওড়ার পাইকারি মাছ কারবারি সংগঠনের কর্তা সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘‘মাঝে শুক্রবার বাংলাদেশে এবং রবিবার ভারতে ছুটি। বাধা কাটিয়ে আগামী সপ্তাহেই ইলিশ আমদানির চেষ্টা চলছে।’’ তিনি জানান, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই ইলিশ ঢুকে কলকাতা, হাওড়া ও শিলিগুড়ি যাবে। এখন এক কেজি-১২০০ গ্রামের বড় ইলিশের দাম কমবেশি ১৩০০ টাকা। পদ্মার ইলিশের দাম তার আশপাশেই থাকবে বলে ধারণা ইলিশ-কারবারিদের। মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন (১৭ সেপ্টেম্বর), আসন্ন রান্নাপুজোর আগেই বাঙালির ভাতপাতে মিলতে পারে পদ্মার ইলিশ।
এ বছর এখনও মায়ানমারের ইলিশ ছাড়া গুজরাতের ইলিশেই এ-পার বাংলার রসনাতৃপ্তি হয়েছে। তবে কলকাতা-হাওড়ার ইলিশ বাজারের খবর, এত দিন বাংলাদেশ থেকে চোরাপথেও কিছু ইলিশ ঢুকেছে। আনোয়ারসাহেবের কথায়, ‘‘পদ্মার স্বাদু ইলিশের অভাবে ইলিশ খাওয়া কমছে বাঙালির। মায়ানমারের ইলিশ এখন শীতেও পায় বাংলা। কিন্তু তার চাহিদা সচরাচর বছরে ২০০০ মেট্রিক টন ছাড়ায় না। ২০১২য় পদ্মার ইলিশ কমবেশি ৬০০০ মেট্রিক টন ঢুকত এ পার বাংলায়। পুজোয় কিছুটা হলেও সাধ মিটবে বাঙালির।’’
২০১২-র জুলাইয়ে তিস্তা চুক্তি নিয়ে টানাপড়েনে এ দেশে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে ঢাকা। গত বার থেকে পুজোর মরসুমে তা শিথিল হচ্ছে।