Bangladesh Protest

‘বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে’! মমতার মন্তব্য নিয়ে মোদী সরকারের কাছে উষ্মা প্রকাশ করল হাসিনার সরকার

রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অশান্তি প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, পড়শি দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪ ১৬:১৯
Share:

(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল শেখ হাসিনার সরকার। এমনকি, ভারত সরকারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে দাবি তাদের। বাংলাদেশ সরকারের দাবি, মমতার কথায় ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তাঁর ওই বক্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অশান্তি প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, পড়শি দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানান, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেই মন্তব্যের পরেই বিরোধীরা সুর চড়াতে শুরু করে। বিজেপির দাবি, মমতার কোনও এক্তিয়ার নেই এমন কথা বলার।

মমতার মন্তব্য নিয়ে সরব রাজনীতি। সোমবার বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছিলেন, অনুপ্রবেশকে বৈধতা দিতে চাইছেন মমতা। এই ধরনের বিষয়গুলি নিয়ে পদক্ষেপের সম্পূর্ণ এক্তিয়ার শুধু ভারত সরকারের রয়েছে। এ প্রসঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর উল্লেখও করেছিলেন রবিশঙ্কর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর কথা বিকৃত করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তিনি মানবিকতার খাতিরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়মের কথা উল্লেখ করেছিলেন।

Advertisement

অন্য দিকে, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্যের রিপোর্ট তলব করেছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার তাঁর দফতরের মিডিয়া সেলের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে রাজভবনের ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’-র একটি পোস্টে এ কথা জানানো হয়েছিল। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার মমতার কথায় আপত্তি জানাল।

ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র বেশ কিছু দিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার কঠোর হাতে এই আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী ঢাকায় কার্ফু জারি করা হয়। নামানো হয় সেনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement