কলকাতা, শিলিগুড়ি যেতে ভরসা তিন

স্টেশনে পরিকাঠামোর উন্নয়ন নিয়েও কর্তৃপক্ষ লাগাতার ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।

Advertisement

অনুপরতন মোহান্ত

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১৯
Share:

বালুরঘাট স্টেশনে থামে- তেভাগা এক্সপ্রেস (রবিবার বাদে) গৌড় লিঙ্ক প্যাসেঞ্জার, হাওড়া এক্সপ্রেস (সোমবার ও মঙ্গলবার বালুরঘাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি)

সাকুল্যে মাত্র তিনটি ট্রেন। কলকাতা ও শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগে সেই তিনটিই ভরসা বালুরঘাটের। আর সপ্তাহে দু’দিন চলে হাওড়া এক্সপ্রেস। স্টেশনে পরিকাঠামোর উন্নয়ন নিয়েও কর্তৃপক্ষ লাগাতার ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। তাঁদের অনেকে বলেন— ‘কার্যত দুয়োরানি স্টেশন বালুরঘাট। বাসিন্দাদের একাংশের নালিশ, জেলায় ট্রেন পরিষেবা চালুর পরে প্রায় এক যুগ পার হলেও বালুরঘাটে রেলের যাত্রী পরিষেবা ও স্টেশনের পরিকাঠামো সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। জেলা সদর বালুরঘাটকে আদর্শ স্টেশন গড়ে তোলা থেকে রেল হাসপাতাল ও উন্নয়নের একগুচ্ছ ঘোষণা, রেলকর্তাদের প্রতিশ্রুতি বছর বছর শোনা গেলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বালুরঘাট স্টেশন থেকে দূরপাল্লার দু’টি ট্রেনের মধ্যে বালুরঘাট-চিতপুর তেভাগা এক্সপ্রেস প্রতি দিন সকালে এবং বিকেলে বালুরঘাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চলাচল করে। দুপুরে কাটিহার থেকে মালদহ রোড স্টেশন হয়ে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বালুরঘাটে পৌঁছয়। বিকেলে ইন্টারসিটি সময়মতো এসে পৌঁছলে তবেই মালদহের গৌড় এক্সপ্রেস ধরতে বালুরঘাট থেকে একটি লিঙ্ক ট্রেন রওনা হয়। সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার রাতে বালুরঘাট থেকে হাওড়া পর্যন্ত একটি ট্রেন চলে। বালুরঘাট-হাওড়া ট্রেনটিকে রোজ চালানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

বালুরঘাট স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নয়ন নিয়ে সদুত্তর মেলেনি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। রেল সূত্রে খবর, ওই তিনটি ট্রেনের নগদ টিকিট বিক্রি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা এবং রিজার্ভেশন টিকিট থেকে আরও প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মিলিয়ে প্রতি দিন প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা বালুরঘাট স্টেশন থেকেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সংগ্রহ করছে।

তবুও কেন ‘দুয়োরানি’ হয়ে রয়েছে বালুরঘাট?

Advertisement

উত্তর মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement