প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের আসন্ন পুরভোট ইভিএম-এর বদলে ব্যালট পেপারে করা যায় কি না তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা না হওয়ায় ব্যালট ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ইভিএম-এ ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা বাতিলের দাবি তুলেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই দাবিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের তরফে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভূক্ত সব ভোটে ব্যালট ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই মতের ভিত্তিতেই এ বার কর্পোরেশন এবং পুরসভা ভোটে ব্যালট ফেরাতে চাইছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়েছে। রাজ্য সরকার চাইলেও এই প্রস্তাব কার্যকর করার ক্ষেত্রে বাস্তবতা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। পুর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত শাসক দলের এক নেতার কথায়, ‘‘ব্যালটে ফেরার সব দিক নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক মতের পাশাপাশি এই সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রশাসনের বক্তব্যও গুরুত্বপূর্ণ।’’
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালট পেপার চালু রয়েছে। তবে ২০১৫ সাল থেকে পুরভোটে ইভিএম চালু করা হয়েছে। সেই ইভিএম-এ স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা রক্ষা নিয়ে একাধিক রাজনৈতিক দলেরই প্রশ্ন রয়েছে। লোকসভা ভোটের পরে দলের কাউন্সিলরদের একটি সভায় রাজ্যে পুরভোটে ব্যালট ফেরানোর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। শুধু তাই নয়, ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সিপিএম-সহ অন্য বামদলগুলিরও।
রাজ্য সরকার এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও মত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানায়নি। তবে প্রাথমিক কথাবার্তা এবং প্রস্তুতি পর্বে কমিশনের তরফে জেলা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই পর্বকে রুটিন বলা হলেও রাজ্যের শাসক দলের মনোভাবের প্রেক্ষিতেই মনে করা হচ্ছে কলকাতা-সহ কিছু পুরসভায় ব্যালটে ভোটের কথা ভাবতে পারে কমিশন।
ভোটারের সর্বশেষ চূড়ান্ত তালিকা ধরেই কি আসন্ন পুরভোট হতে পারে? কলকাতা-সহ বকেয়া ১১৭টি কর্পোরেশন ও পুরসভার ভোট নিয়ে চর্চায় এই প্রশ্ন সামনে আসছে। জানুয়ারি সংশোধিত তালিকা প্রকাশের আগে এই ভোটে আইনি বাধা আছে কি না, প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে তা নিয়েই। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরুর কথা নভেম্বর থেকেই। সে ক্ষেত্রে পুরনো তালিকায় ভোটগ্রহণ নিয়মসম্মত হবে কি না, তা নিয়েও কথা হচ্ছে। তবে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সেরে বকেয়া পুরভোট যত দ্রুত মিটিয়ে নিতে চায় রাজ্য প্রশাসন।