ছাত্রভোটে কাঁটা তুলতে তারকাই সহায় শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের। গোটা পশ্চিম মেদিনীপুরে যে একটি মাত্র কলেজে সব আসনে বিরোধী প্রার্থী রয়েছে, দাসপুরের সেই চাঁইপাট কলেজে ভোটের আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) প্রচার করছে, ‘ছাত্র সংসদে ক্ষমতায় এলে কলেজের অনুষ্ঠানে দেবকে আনা হবেই।’
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দুই মেদিনীপুরের কলেজগুলিতে আজ, শুক্রবার ছাত্রভোট। তবে দুই জেলার বেশির ভাগ কলেজ বিনা যুদ্ধে টিএমসিপি-র দখলে চলে এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ১৯টি কলেজের মধ্যে সব ক’টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করেছে তারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৬টির মধ্যে ২০টি কলেজে মনোনয়ন পর্বে টিএমসিপি-র জয় নিশ্চিত হয়েছে। অর্থাৎ দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে আজ ভোটাভুটি হবে মাত্র ৬টি কলেজে, সবই পশ্চিমের। এর মধ্যে টিএমসিপি-র মাথাব্যথা শুধু চাঁইপাট কলেজ। কারণ, গোটা দক্ষিণবঙ্গে গতবার শুধু চাঁইপাট কলেজই এসএফআইয়ের দখলে ছিল। এ বারও ছাত্র সংসদের ১৫টি আসনের সব ক’টিতেই প্রার্থী দিয়েছে তারা।
চাঁইপাট কলেজে লড়াই যে রয়েছে, তা মানছেন টিএমসিপির জেলা সভানেত্রী দেবলীনা নন্দী। দেবলীনার মতে, “দেব দলের সাংসদ। কলেজের অনুষ্ঠানে উনি আসতেই পারেন। চাঁইপাটে সংগঠনের কর্মীরা যদি এই প্রচার করেই থাকেন তাতে অন্যায়ের কী আছে!” চাঁইপাট কলেজে টিএমসিপি নেত্রী পল্লবী সিংহ রায়ও বলছেন, ‘‘চাঁইপাট দেবের সাংসদ এলাকা ঘাটালের মধ্যেই পড়ে। ফলে, আমরা জিতলে স্থানীয় সাংসদ হিসেবেই তাঁকে কলেজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাব।’’ এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদির কথায়, “ছাত্র স্বার্থ থেকে টিএমসিপি অনেক দূরে। তাই দেবকে আঁকড়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে।”