Bagda

প্রধানের হুমকির মুখে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের বয়রা পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। সোমবার পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী বনগাঁর পুলিশ সুপার জয়িতা বসুর কাছে প্রধান অসিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগদা  শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৩
Share:

কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী। প্রতীকী ছবি।

প্রধানের বিরুদ্ধে এক পঞ্চায়েত সদস্য অভিযোগ করেছিলেন, আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে দশ-বিশ হাজার করে টাকা তুলেছেন প্রধান। যদিও কারও নামই ওঠেনি সরকারি তালিকায়। তার পর থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে পরিবারের দাবি। ‘চাপের মুখে’ তিনি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের বয়রা পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। সোমবার পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী বনগাঁর পুলিশ সুপার জয়িতা বসুর কাছে প্রধান অসিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান সুপার। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান বলেন, ‘‘উনি প্রতারক। অনেকের থেকে টাকা তুলেছেন। এখন নিজের পিঠ বাঁচাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’ পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই সদস্য কীটনাশক খেয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি।

তবে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘দলীয় ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষ প্রমাণ হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’ ৬ জানুয়ারি কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার পরে রবিবার বাড়ি ফিরেছেন। ওই সদস্যের কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম কিছু গরিব মানুষকে পাকা বাড়ি দিতে পারব। প্রধানের কথা মতো কারও কাছ থেকে ১০ হাজার, কারও কাছ থেকে ২০-৩০ হাজার করে টাকা তুলে ওঁকেই দিয়েছিলাম।’’ তিনি টাকার ভাগ নেননি বলে দাবি তাঁর। সোমবার পুলিশ সুপারের কাছে তাঁর স্ত্রী লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, টাকা দিয়েও কারও নাম তালিকায় না ওঠায় ওই সব মানুষজন তাঁর স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। সে সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন স্বামী। তার পর থেকেই দুষ্কৃতীদের বাড়িতে পাঠিয়ে ভাঙচুর, খুনের হুমকি দিচ্ছিলেন প্রধান। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তাঁর স্বামী। তাঁর কথায়, ‘‘এখন ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।’’ প্রধান বলেন, ‘‘উনি অসৎ মানুষ। ওঁকে গত দু’বছর আমি পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতেই দিইনি। এই পঞ্চায়েতে স্বচ্ছতার সঙ্গে আবাস যোজনার তালিকা তৈরি হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement