নিজস্ব চিত্র।
ট্রেনে প্রসব বেদনা। আর তার পর রেলকর্মীদের সাহায্যে স্টেশনে সন্তান প্রসব। করোনা আতঙ্কে যেন টাটকা বাতাস বয়ে আনল এই ঘটনা। প্রসবে সাহায্য করার জন্য রেলকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখার সাঁতরাগাছি স্টেশনে। রেল সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ খড়্গপুরের বাসিন্দা সুমন বিয়াদি সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রঞ্জনাকে নিয়ে ডাউন শালিমার লোকালে কুলগাছিয়া থেকে হাওড়ার দিকে আসছিলেন। কিন্তু সাঁতরাগাছি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগেই রঞ্জনার প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়। ফলে বাধ্য হয়ে সাতরাগাছি স্টেশনে নেমে পড়েন সুমন।
জানা গিয়েছে, ফুটব্রিজে উঠতে গিয়ে রঞ্জনা অসুস্থ বোধ করে সেখানেই বসে পড়েন। এই ঘটনা রেলকর্মীদের নজরে এলে তাঁরা স্ট্রেচারে করে তাঁকে টিকিট কাউন্টারের সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে চাদর দিয়ে চারদিক ঢেকে দেন রেলকর্মীরা। তার মধ্যেই রঞ্জনা এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। রেলকর্মীরা রেলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে সেখানে আসেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। মা ও নবজাতককে রেলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসকরা মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানান ভাল আছেন তাঁরা। পরে তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই প্রসঙ্গে আরপিএফ-এর সাব ইন্সপেক্টর পুলিনবিহারী মণ্ডল বলেন, ‘‘রেলের তরফ থেকে যাবতীয় সহযোগিতা করা হয়েছে। চাদর দিয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে ঘিরে দেওয়া হয়। দ্রুত খবর দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।’’
রেলকর্মীরা যে ভাবে তাঁর স্ত্রীকে প্রসবে সাহায্য করেছেন তাতে অভিভূত সুমন। রেলকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।