ফাইল চিত্র।
পরের বার দেখা হলে পেনড্রাইভে নিজের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে এ কথা জানিয়েছেন তৃণমূলনেতা বাবুল সুপ্রিয়। গানের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আরও ভাল করে কাজ করতে। গান গাইতে। ওঁর কাছে যে পেনড্রাইভ আছে, তাতে আমার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত নেই। আমি বলেছি, পরের বার দেখা হলে আমি সেই রবীন্দ্রসঙ্গীত দেব।’’
বাবুল যত দিন বিজেপি-তে ছিলেন, সেই সময় বার বার তিনি আক্রমণ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি আক্রমণ করেছেন একাধিক বার। সেই বাবুলই এখন তৃণমূলে। এ প্রসঙ্গে বাবুলের মন্তব্য, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছি। কড়া সমালোচনা করেছি। কিন্তু আমি বলব, মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে এর পরেও উদারতা ধরা পড়েছে। উনি বিরোধী দলের একটি ছেলে, যে তাঁর দল সম্পর্কে ভাল কথা কিছু বলেনি, তাঁকে বাংলার হয়ে কাজের সুযোগ দিয়েছেন।’’ একই সঙ্গে বাবুলের বক্তব্য, ‘‘জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
এর আগেও এই বিষয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বাবুল। সেই সময় ‘বাক্স বদল’-এর কথা বলেছিলেন তিনি। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বাবুল বললেন, ‘‘অভিষেকের সঙ্গে একটা অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমি তো এ সব অস্বীকার করছি না। কারও পোস্ট মুছতে বলিনি আমি। সব পোস্ট থাকবে।’’ পাশাপাশি, বাবুল কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা ও অভিষেককে। তাঁকে ‘প্রথম একাদশে’ স্থান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন আগেই। শনিবার বললেন, ‘‘আমাকে বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’’
এ বার কোন নতুন দায়িত্ব পাবেন বাবুল? বাবুল বলছেন, ‘‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাই হবে। যে ভাবে দল আমাকে কাজে ব্যবহার করতে চাইবে, আমি সে ভাবেই মানুষের জন্য কাজ করব। দিদি যদি মনে করেন, ওঁর বাংলাকে নিয়ে যে পরিকল্পনা, তাতে আমি অংশ নিতে পারব, তা হলে আমাকে দায়িত্ব দেবেন। আমি সে দায়িত্ব পালন করব।। আমি খুব বিশ্বাসযোগ্য যোদ্ধা। এই সততাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।’’