লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছেন হাসপাতালের কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র
করোনা আক্রান্ত হাসপাতালের একাধিক কর্মী। কোভিড পরীক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে নিজেই নিজের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছিল জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রবিবার লালারসের নমুনা সংগ্রহের জন্য কর্মী নিয়োগ করলেন কর্তৃপক্ষ।
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষা করাতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে নিজেই নিজের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছিল। শনিবার এই খবর প্রকাশ করে আনন্দবাজার ডিজিটাল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেল হাসপাতালের পরিষেবা। রবিবার দেখা গেল, হাসপাতালের কর্মীরাই কোভিড পরীক্ষা করাতে আসা ব্যক্তিদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছেন। সূত্রের খবর, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশেই এক জন কর্মীকে ওই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী সুপার সৌরভ দাস বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালের অধিকাংশই কর্মী এবং নার্স কোভিড আক্রান্ত। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক নয়। আমি নিজেও কোভিড আক্রান্ত। তাই সাধারণ মানুষকে নিজের লালারসের নমুনা নিজেকেই সংগ্রহ করতে হচ্ছিল। আজ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা নমুনা সংগ্রহ করার জন্য কর্মী নিয়োগ করেছি। প্রসঙ্গত গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মতো মুর্শিদাবাদেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই জঙ্গিপুরের ওই হাসপাতালের সুপার, সহকারী সুপার-সহ মোট ২৯ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত। করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই প্রার্থীরও মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়।