হাতির হানায় নিহত। নিজস্ব চিত্র
হাতির আক্রমণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি জঙ্গলমহলে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে চলেছে। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে হাতির হানায় নিহত হলেন এক ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় লালগড় রেঞ্জের শালবনির মথুরাপুরে নিহত হন মনসা মাহাত (৩৮)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই মথুরাপুর এলাকায় একটি দলছুট হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শনিবার বিকেল থেকেই এলাকায় দেখা যায় ওই হাতিটিকে৷ গ্রামবাসীরা তাড়ানোর চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি৷ সাময়িক ভাবে জঙ্গলে ফিরে গেলেও সন্ধ্যায় খাবারের সন্ধানে হাতিটি এলাকায় ফিরে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যায় জঙ্গল সংলগ্ন একটি পুকুরের দিকে গিয়েছিলেন মথুরাপুরের বাসিন্দা মনসা। সে সময় দলছুট হাতিটির মুখোমুখি পড়ে যান তিনি। হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মনসা। পরে গ্রামবাসীরা হাতিটিকে জঙ্গলে তাড়িয়ে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন ধরেই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতিটি। অথচ বন দফতরের পক্ষ থেকে হাতিটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি৷
শনিবার এ নিয়ে গড়বেতায় বন দফতরের কার্যালয়ে গিয়ে হাতি তাড়ানো-সহ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এক গ্রামবাসীরা।
বন দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, জঙ্গলের রাস্তায় যেতে গ্রামবাসীদের নিষেধ করতে এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে। কোন জঙ্গলে কতগুলো হাতি রয়েছে, তার পরিসংখ্যান দিয়েও প্রচার চলছে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘হাতির হানায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিয়ম অনুযায়ী তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’