Calcutta University

সরানো হল সোনালিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন সহ-উপাচার্য আশিস

সোনালিকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণের যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট, তা বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। তার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:৩২
Share:

তিন মাসের জন্য অস্থায়ী উপাচার্য করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায়কে।

সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানো হল সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিন মাসের জন্য অস্থায়ী উপাচার্য করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায়কে। এই মর্মে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। সূত্রের দাবি, আশিসকে অস্থায়ী উপাচার্য করার যে প্রস্তাব রাজ্য দিয়েছে বৃহস্পতিবার সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য লা গণেশন।

Advertisement

সোনালিকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণের যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট, তা বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। তার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ৩ মাসের জন্য আশিসকে উপাচার্য করার পাশাপাশি তিন সদস্যের সার্চ কমিটি গড়ার প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। সাধারণত ৩ সদস্যের সার্চ কমিটি গড়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ওই কমিটিতে থাকেন রাজভবনের, রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন করে প্রতিনিধি থাকে। সেই নিয়ম মেনে কমিটি গড়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের যে প্রস্তাব রাজ্য সরকারের তরফে করা হয়েছে, রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দিয়েছেন বলে খবর উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্র মারফত।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৭ অগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়ের কাছে প্রস্তাব যায় সোনালিকে পুনর্নিয়োগের জন্য। তিনি প্রশাসনের কাছে ওই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। সেই ব্যাখ্যা না দিয়েই সোনালিকে পুনর্বহাল করেছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। গত ১২ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, সোনালিকে দ্বিতীয় বার উপাচার্য পদে বহাল করার এক্তিয়ার নেই রাজ্যের। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সোনালি। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারও সেই মর্মে আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও শীর্ষ আদালত শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টের রায়েই মান্যতা দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement