স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল আসানসোলের সংশোধনাগারেও ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ ছিলেন, এমন দাবি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনুব্রত ওরফে কেষ্ট একটি খুনের চেষ্টার মামলায় এখন বীরভূমের দুবরাজপুরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে তাঁর জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ হয়েছে, এমন অভিযোগ ওঠার পরে পুলিশ দাবি করে, আসানসোলের জেলেও আদালতের নির্দেশে তেমন ব্যবস্থায় ছিলেন কেষ্ট। আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ যদিও সে দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন।
নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, দুবরাজপুর থানায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে রাখা হয়েছে অনুব্রতকে। তাঁর জন্য আলাদা রান্নার ব্যবস্থাও হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী দাবি করেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তাজনিত একটা বিষয় তো আছেই। আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেও তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ছিলেন। এখানেও আদালতের নির্দেশই পালন করা হচ্ছে। পুলিশ আলাদা কিছু করছে না।’’ অনুব্রত আসানসোলে থাকাকালীন বিরোধীরাও অভিযোগ তুলেছিল,তাঁর জন্য জেলে নানা সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ যদিও তা মানতে চাননি। শুক্রবার তাঁরা জানান, অনুব্রতের স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সরঞ্জাম সঙ্গে রাখার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁর সঙ্গে নেবুলাইজ়ার রাখতে হত। অসুস্থতার কারণেই অনুব্রতকে জেলের হাসপাতাল সেলে রাখা হয়েছিল। সেখানে দশটি শয্যা রয়েছে। অন্য পাঁচ অসুস্থ আবাসিকের সঙ্গে সেখানেই ছিলেন অনুব্রত। অন্য বন্দিদের জন্য বরাদ্দ খাবারই দেওয়া হত তাঁকে।
আসানসোল জেল সূত্রের খবর, অনুব্রতকে বীরভূমে নিয়ে যাওয়ার পরেও, শুক্রবার পর্যন্ত তাঁর শয্যাটি ফাঁকা রয়েছে। জেলের কর্মীদের একাংশের দাবি, অনুব্রতকে আদালত আবার জেল হেফাজতে পাঠালে, তাঁকে আসানসোলে ফেরত পাঠানো হতে পারে। তাই ওই শয্যায় এখনই কাউকে রাখা হচ্ছে না। জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।