সুবোধ সিংহ। —ফাইল চিত্র
রাজ্যের নানা স্বর্ণবিপণিতে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত গ্যাংস্টার সুবোধ সিংহকে অবশেষে নিজেদের হেফাজতে পেল সিআইডি। তাঁর ১৪ দিনের সিআইডি হেফজাতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত। ‘গোল্ডেন ডাকু’ বলে পরিচিত সেই সুবোধকে এ বার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতায়।
বুধবার আদালতের নির্দেশের পর সুবোধকে যখন পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল, সেই সময় তিনি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে! বিহারের জেলে বসে রাজ্যে একাধিক সোনার দোকানে ডাকাতি, খুন, ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুবোধের বিরুদ্ধে। সে সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে গ্যাংস্টার বলেন, ‘‘সব মিথ্যে। কোনও ঘটনার সঙ্গেই আমার যোগ নেই। আমি তো নিজেই জেলে রয়েছি গত সাত বছর ধরে। জেলে বসে এগুলো করা সম্ভব নাকি!’’ গত সোমবার সুবোধের বিরুদ্ধে আসানসোল দক্ষিণ থানায় এক সিআইডি অফিসারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সুবোধ সেই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।
গত রবিবার সুবোধকে বিহারের বেউর জেল থেকে এ রাজ্যে নিয়ে আসে সিআইডি। সেই দিনই তাঁকে আসানসোল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। পরদিন, অর্থাৎ সোমবারও আইনি বাধার কারণে সুবোধের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার সুবোধকে ফের আদালতে হাজির করানো হয়। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে ২০২২ সালে রানিগঞ্জে গুলিকাণ্ডের মামলায় সুবোধকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে পায় সিআইডি।
বুধবার কড়া পুলিশি প্রহরায় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সুবোধকে সিজিএম লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ ক্ষণ সেখানে রাখার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এডিজে ওয়ান আদালতে। সেখানে সুবোধকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিআইডি। আপত্তি তোলেন গ্যাংস্টারের আইনজীবী।। বিচারকও জানিয়ে দেন, এই আদালত ট্রায়াল কোর্ট। অভিযুক্তকে হেফাজতে পাঠানোর এক্তিয়ার তাঁর নেই। অতএব মামলা স্থানান্তরিত হয় সিজিএম আদালতে। এই স্থানান্তর প্রক্রিয়াতেও নথি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গন্ডগোল বাধে। শুনানিতে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বাদানুবাদও হয় তা নিয়ে। ১৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়।