আর জি কর হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন, ধর্ষণের ঘটনা এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দু’টি আলাদা মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এবং প্রভাবশালী যোগে সরকারি হাসপাতালে নিম্নমান ও জাল ওষুধ সরবরাহের চক্রের হদিস পাওয়া গিয়েছে। আর ওই চক্রের পিছনে ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালী’রা রয়েছেন বলেও তদন্তে আভাস মিলেছে— সিবিআই সূত্রের দাবি তেমনই।
দু’টি মামলার তদন্তে অগ্রগতি অনুযায়ী ইঙ্গিত, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র, আর্থিক দুর্নীতি, ওষুধ দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ওই খুন ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পরে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করেও খুন, ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটে তাঁদের সক্রিয় থাকার সন্দেহ গাঢ় হচ্ছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি। এর ফলে পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্তের সম্ভাবনা মজবুত হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের অভিমত। খুনের পিছনে অনেকের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাণপণে ধামাচাপা দেওয়ারআভাসও সুস্পষ্ট বলেই তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি।
কলকাতা পুলিশের তদন্তে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তদন্তের তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও পেশ করে সিবিআই। সঞ্জয় ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে দাবিও করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু সিবিআই সূত্রে দাবি, তাদের হেফাজতে তো বটেই, সঞ্জয় আদালতে বিচারকের কাছেও ওই দাবি বজায় রেখেছে।
সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের কথায়, আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের বয়ান চার্জশিটে দেওয়া হয় না। তা বিচারপ্রক্রিয়ার সময় আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সঞ্জয়ের কাছ থেকে লিখিত বয়ান নেওয়া হয়েছে এবং সঞ্জয়ের বয়ান খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ভিন্ন দিক নির্দেশ করছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। তা অবশ্যই যাচাইকরা হচ্ছে।