আদালতের পথে কুরেশি। নিজস্ব চিত্র।
বিদ্যাসাগর সেতুতে ধৃত মহম্মদ সাদ্দামের যোগসূত্রে গ্রেফতারের আগেও একাধিক বার গ্রেফতারির ইতিহাস আছে মধ্যপ্রদেশের আব্দুল রাকিব কুরেশির। জঙ্গি কার্যকলাপ ছাড়াও তালিবানের সমর্থনে আদালতের মধ্যে স্লোগান দেওয়ার জন্য আট বছর আগে তাকে এক বার গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রাক্তন ওই সিমি নেতা এবং বর্তমানে আইএসের সঙ্গে যুক্ত কুরেশি ২০০৯ সালে ধরা পড়েছিল খুনের চেষ্টার অভিযোগে।
সেই কুরেশি এখন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হেফাজতে। এসটিএফ সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে সক্রিয় হয়ে ওঠে সমাজমাধ্যমে। সেখানেই বছর দুয়েক আগে হাওড়ার বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে আলাপ হয় তার। দু’জনেই জঙ্গি মতাদর্শ প্রচার করত সমাজমাধ্যমে। এক গোয়েন্দা অফিসার জানান, সাদ্দাম বা কুরেশি তাদের দেখাসাক্ষাতের কথা এখনও স্বীকার করেনি। তবে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সংগঠনের কাজেই তারা আগে এ রাজ্যের বাইরে দেখা করেছে। এবং চলতি মাসেই দু’জনের দিল্লিতে গিয়ে দেখা করার কথা ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, সাদ্দাম এবং তার সঙ্গে ধৃত সইদ আহমেদদের নিয়ে গঠিত আইএসের বাংলা মডিউলকে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা করেছিল কুরেশি। তাই বৃহস্পতিবার তিন জনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দারা দাবি, সাদ্দামের নেতৃত্বে আইএস পশ্চিমবঙ্গে নতুন মডিউল তৈরির চেষ্টা করছিল। তার জন্য এ রাজ্যে বেশ কয়েক জন যুবককে নিয়োগ করা হয়। সেই কাজে সাদ্দাম ছাড়াও আরও তিন জন সক্রিয় বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই তিন যুবকের খোঁজ পেলে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য জানা যাবে। সাদ্দাম অনেক কিছুই এড়িয়ে যাচ্ছে বা ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে বলে গোয়েন্দাদের অভিযোগ।