অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে। তদন্তকারী সংস্থাটির সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতা ডিরেক্টর ইনফর্মেশন নম্বর (ডিআইএন) পেয়েছিলেন ১২ বছর আগে। একই সঙ্গে আদালতে ইডি দাবি করেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন প্রথম বার রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছিলেন তার কিছু সময় পর থেকেই অর্পিতার সঙ্গে তাঁর ‘পরিচয়’।
পেঁয়াজের ‘খোসা ছাড়ানো’র মতো ক্রমশই এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ড নিয়ে নানা তথ্য ইডির হাতে আসছে বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অর্পিতা। কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, অর্পিতা ডিরেক্টর ইনফর্মেশন নম্বর (ডিআইএন) পান ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। ২০১১ সালে দু’টি সংস্থা এবং ২০১৪ সালে অন্য একটি সংস্থার ডিরেক্টর হন তিনি। ইডির দাবি, ওই তিনটি সংস্থার মধ্যে দু’টির ইমেল আইডি শুরু হয়েছে ‘এআরপি’ দিয়ে। সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে অর্পিতা ব্যবহার করেছেন টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির ঠিকানা। সেখানে ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার। বাকি দু’টি সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে তাঁর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের ক্লাব টাউন হাইটস ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা, সোনা-সহ নানা জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে ইডি।
ইডির বক্তব্য, পার্থ এবং অর্পিতার যৌথ মালিকানায় সম্পত্তির সূত্রপাত অন্তত ২০১২ সাল থেকে। ঘটনাচক্রে, সেই সময় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন পার্থ। ইডির দাবি, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি বোলপুর অতিরিক্ত জেলা অবর নিবন্ধকের কার্যালয়ে (অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্টার) একটি দলিল নথিবদ্ধ হয়েছিল। ইডির বক্তব্য, ওই দলিল প্রমাণ করছে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের ‘ইতিহাস’। ওই দলিলটি অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশির সময় উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।