প্রতীকী ছবি।
ভোটের আগে লাইসেন্সধারীদের জমা দেওয়া ১৮টি বন্দুক লালগড় থানার মালখানা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় এ বার বিহারের ঔরঙ্গাবাদে রবিকান্ত কুমার নামে এক আন্তঃরাজ্য অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধৃতের কাছে লালগড় থানা থেকে চুরি যাওয়া একটি একনলা এবং একটি দোনলা বন্দুক পাওয়া গিয়েছে।
এসটিএফ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে রবিকান্ত ধরা পড়ে। তার কাছে প্রচুর অস্ত্রের ভুয়ো লাইসেন্সও পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে লালগড় থানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লোপাটের ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হল। উদ্ধার হয়েছে গায়েব হওয়া তিনটি অস্ত্র। তবে থানা থেকে বাকি ১৫টি অস্ত্রের খোঁজ মেলেনি। রবিকান্তকে নিয়ে গোয়েন্দারা বুধবার রাজ্যে ফিরেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলার কথা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিকান্ত ভুয়ো লাইসেন্স তৈরি করে আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা করত। অস্ত্র সরবরাহ করত ঝাড়খণ্ড-বিহারের মাওবাদী ও দুষ্কৃতীদের। তার বিরুদ্ধে বিহারে অস্ত্র পাচারের একাধিক মামলা আছে। পুলিশ জানায়, গত জানুয়ারিতে পুরুলিয়ার কেন্দা বাজারে একটি গাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এসটিএফ ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে অস্ত্র পাচারের অভিযোগে পুরুলিয়া থেকে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে। পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, কেন্দা বাজারে পাওয়া বন্দুকটি লালগড় থানার। সেই ঘটনায় দুই পুলিশকর্মীকে ঝাড়গ্রাম থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়, যাঁরা আগে লালগড় থানায় ছিলেন। জানা যায়, লালগড় থানার মালখানা থেকে ১৮টি বন্দুক চিরঞ্জীব ওঝা নামে হাজারিবাগের মাওবাদী লিঙ্কম্যান বলে এক অভিযুক্তের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে চিরঞ্জীবকে গ্রেফতারের পরেই বিহারের অস্ত্র কারবারি রবিকান্তের কথা সামনে আসে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, বাকি অস্ত্রগুলো ঠিক কোথায় কাদের বিক্রি করা হয়েছে, চিরঞ্জীব ও রবিকান্তকে মুখোমুখি বসিয়ে সেটা জানার চেষ্টা হবে।