অর্জুনের কার্যালয়ে সাঁটানো মোদীর ছবি ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
অর্জুন সিংহের বাড়ির দলীয় কার্যালয় থেকে খুলে ফেলা বিজেপির পতাকা। ছিঁড়ে ফেলা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার ছবি। সব আয়োজন আগেই সেরে ফেলা হয়েছিল। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুনের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের কিছু ক্ষণ আগেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায়, অর্জুনের বাড়ির দলীয় কার্যালয়ে লাগানো গেরুয়া পতাকা খুলে ফেলছেন তাঁর অনুগামীরা।
রবিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন অর্জুন। যোগদানের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। গলায় জোড়াফুলের উত্তরীয়। পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব এবং রবিবারের ঘটনাপ্রবাহে খাতায়-কলমে এখন বিজেপি সাংসদ অর্জুনের তৃণমূলের যোগদান কার্যত নিশ্চিতই ছিল। পড়ন্ত বিকেলেই সত্যি হল ওই জল্পনা। তবে ওই জল্পনার মধ্যেই তাঁর বাড়ির দলীয় কার্যালয় থেকে বিজেপির পতাকা খুলে ফেলা শুরু হয়।
প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অর্জুনের কার্যালয়ে সাঁটানো মোদী এবং নড্ডার ছবি ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। পরিবর্তে লাগানো হচ্ছে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের ছবি। কার্যালয়ও ভরিয়ে তোলা হয় মমতা ও অভিষেকের ছবি দেওয়া ব্যানারে। তৃণমূল সূত্রে খবর, অর্জুনের দলবদল নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় জন্য ওই রকম চার হাজারেরও বেশি ব্যানার তৈরি করে তৃণমূলের কার্যালয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার বিকেলে অর্জুন তৃণমূলে ফিরতেই ওই ব্যানার লাগানোর কাজ শুরু হয়ে যায়। সাংসদের কার্যালয়ে বাজানো হয় ‘খেলা হবে’ গানটিও।
ভাটপাড়া টাউন ২-তে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মান্নু সাউ বলেন, ‘‘অর্জুন আমাদের নেতা। আমাদের অভিভাবকের মতো। উনি দলে এলে আমাদের ভালই হবে। ভাটপাড়া আবার শান্ত হবে। কোনও গন্ডগোল হবে না।’’ অর্জুন ঘনিষ্ঠ এবং ছায়াসঙ্গী ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ বলেন, ‘‘অর্জুনদা যা করবেন, আমরাও তাই করব। আমরা অর্জুনের সঙ্গেই আছি।’’