ফাইল চিত্র।
থানার সীমানা রয়েছে। কিন্তু একেবারে সীমানার কাছে অপরাধ হলে কে তার তদন্তভার নেবে, তা নিয়ে ঠেলাঠেলি লেগে যায় দুই থানার মধ্যে। সেই সমস্যা কাটাতে এ বার প্রযুক্তির সাহায্যে থানার সীমানা নির্ধারণ করবে রাজ্য পুলিশ। প্রশাসনের খবর, রাজ্য পুলিশের অধীন ৬৩০টি থানার সীমানা নতুন করে নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে নয়া মানচিত্র। রাজ্য পুলিশের মূল কন্ট্রোল রুমের (ডিজি কন্ট্রোল) খোলনলচে বদলে তা ডিজিটাল হচ্ছে।
এত দিন মৌজা মানচিত্র অনুযায়ী থানার এলাকা নির্ধারণ করা হত। এ বার তা হবে গ্লোবাল পজ়িশনিং সিস্টেম (জিপিএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে। যার ফলে অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ ধরে চিহ্নিত করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য বিজ্ঞান-প্রযুক্তি দফতর এবং ভূমি দফতরের অফিসারেরাও এই প্রকল্পে যুক্ত রয়েছেন। কলকাতা পুলিশেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দফতর নিয়ে যে কমিটি তৈরি হয়েছে তারা শীঘ্রই মানচিত্র চূড়ান্ত করার বৈঠক করবেন বলেও খবর।
তবে শুধুই থানার সীমানা সমস্যা ঠেকাতে নয়, পুলিশকর্তাদের মতে, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। প্রতিটি এলাকায় তখন পুলিশ পোস্টিং করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে রুট মার্চ করতে চাইবে। রাজ্যে প্রতিটি এলাকা নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত থাকলে কাজে সুবিধা হবে। এক পুলিশকর্তা বলেন, “প্রতিটি জেলার নির্দিষ্ট সীমারেখা রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে একটি জেলার মধ্যে পুলিশের অনেক ভাগ হয়েছে। কোথাও পুলিশ কমিশনারেট হয়েছে। কোথাও এক জেলার মধ্যে তিনটি পুলিশ জেলা তৈরি হয়েছে। অথচ তার জন্য আলাদা মানচিত্র তৈরি হয়নি। সেই ভাবেও ভাগ করা হচ্ছে।”
এক পুলিশকর্তা জানান, ডিজি কন্ট্রোল রুমে সেই মান্ধাতার আমলের ফোন তুলে যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল। এ বার কম্পিউটারের এক ক্লিকে নবান্নের পুলিশ কর্তারা রাজ্যের যে কোনও জায়গার পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।