VLTD

বাণিজ্যিক গাড়িতে ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানোর সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন পরিবহণ দফতরের কাছে

শুক্রবার পরিবহণ দফতরের ময়দান টেন্টে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সচিব সৌমিত্র মোহন-সহ বৈঠকে যোগ দেন বাণিজ্যিক পরিবহণ সংগঠনগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫১
Share:

প্যানিক বাটন বসানোর ক্ষেত্রেও বৈঠকে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন পরিবহণ সংগঠনের নেতারা। প্রতীকী ছবি।

বাণিজ্যিক গাড়িতে ভেইকলস লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) লাগানোর সময়সীমা স্থির হয়েছে ৩১ মার্চ। কিন্তু পরিবহণ দফতরের ডাকা বৈঠকে সেই সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানালেন পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার পরিবহণ দফতরের কসবার পরিবহণ ভবনে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সচিব সৌমিত্র মোহন-সহ বৈঠকে যোগ দেন বাণিজ্যিক পরিবহণ সংগঠনগুলি। পাশাপাশি, ভিএলটিডি লাগানোর দায়িত্বে থাকা ১২টি সংস্থাকেও বৈঠকে শামিল হতে নির্দেশ দিয়েছিল পরিবহণ দফতর। সেই বৈঠকেই পরিবহণ দফতরের তরফে দ্রুততার সঙ্গে গাড়িতে ভিএলটিডি পরিষেবা লাগানোর কথা বলা হয়।পাল্টা পরিবহণ সংগঠনগুলির তরফেও বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে এই কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের তরফে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে, ১২টির বদলে আরও বেশি সংখ্যায় সংস্থাকে ভিএলটিডি বসানোর দায়িত্ব দিক পরিবহণ দফতর। তাহলে অনেক কম খরচে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গাড়িগুলিতে ভিএলটিডি লাগানো সম্ভব হবে। সঙ্গে ভিএলটিডি বসানোর ক্ষেত্রে ভর্তুকিও দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে বৈঠকে মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারের স্থির করে দেওয়া সময়সীমার কোনও বদল হবে না।

Advertisement

প্যানিক বাটন বসানোর ক্ষেত্রেও বৈঠকে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন পরিবহণ সংগঠনের নেতারা। পরিবহণ দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি যে কোনও ধরনের বাণিজ্যিক গাড়িতে প্রতি ২ মিটার অন্তর প্যানিক বাটন বসাতে বলা হয়েছে। ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে ৪-৫টি প্যানিক বাটন বসানো হলেও, বাসের ক্ষেত্রে গোটা বাসে নয়টি প্যানিক বাটন বসাতে হবে। যাত্রী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পরিবহণ সংগঠনগুলির প্রস্তাব গাড়িতে একটি মাত্র প্যানিক বাটন বসানোই যথেষ্ট।

সাবার্বাণ বাস সার্ভিসেসের তরফে টিটো সাহা বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হয়েছি, সেই সব কথাই আমরা মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেছি। করোনা সংক্রমণের পর এমনিতেই বাণিজ্যিক পরিবহণ ধুঁকছে। তাই সরকার বেশি চাপ তৈরি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আমরা পাঁচদফা দাবি পরিবহণ দফতরকে জানিয়েছি।’’ পুলকার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সুদীপ দত্ত বলেছেন, ‘‘আমরা ভিএল়টিডি বসানোর সময়সীমা বাড়ানোর কথা বলিনি। আমরা বলেছি, যে গাড়ি যখন ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবে, সেই গাড়ি বছরের সেই সময় গিয়ে ভিএলটিডি বসানোর কাজ করিয়ে নেবে। এতে যেমন বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যাবে, তেমনই একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সরকার তার লক্ষ্যপূরণে সফল হবে।’’ পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত বছর থেকে বাণিজ্যিক পরিবহণে ভিএলটিডি লাগানোর কথা বলা হলেও, ১৫-১৬ লক্ষ গাড়িতে এখনও ভিএলটিডি লাগানো সম্ভব হয়নি। তাই বৈঠকে যোগদানকারী পরিবহণ সংগঠনগুলি ভিএলটিডি লাগানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সময় চাইছে। পরিবহণ দফতর অবশ্য এখনও নিজেদের পুরনো অবস্থানেই অনড়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement