তিন বার নোটিস পাঠানোর পরেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন লালা। -নিজস্ব চিত্র।
কয়ালাপাচার-কাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালা এখনও বেপাত্তা। তাঁকে নাগালে পেতে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের পথেই এগোচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ‘অপরাধী’ ঘোষণা করে পোস্টার দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নোটসিও সাঁটিয়ে দিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা।
তিন বার নোটিস পাঠানোর পরেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন লালা। তদন্তে নেমে অন্যান্য রাঘোববোয়ালের সন্ধানও মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে লালাকে হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। কিন্তু সপরিবার কয়েক মাস ধরেই গা ঢাকা দিয়েছেন লালা। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগিদের ইতিমধ্যে জেরা করা হয়েছে।
ওই চক্রে জড়িত রয়েছেন সিআইএসএফ, রেল এবং ইসিএল কর্মীদের একাংশ। সেখানে রাজনৈতিক যোগও রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্নীতির গভীরে পৌঁছতে সিবিআইয়ের সঙ্গে কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের তদন্তে নেমেছ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও।
আরও পড়ুন: ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু, সারা দেশের পাশাপাশি সতর্ক পশ্চিমবঙ্গও
শুধু এ রাজ্যেই নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সিন্ডিকেটকে কাজে লাগিয়ে চলত কয়লাপাচার চক্র। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা মনে করছেন, লালা এই চক্র চালাতে মাসোহারা দিতেন তার সহযোগীদের।