Anubrata Mondal

বীরভূম থাকবে ‘বিরোধীশূন্য’, নেত্রীকে কথা কেষ্টর

তিনি কী ভাবে দলকে এই আশ্বাস দিলেন? অনুব্রত অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০ ০৫:০৯
Share:

অনুব্রত মণ্ডল।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমকে ‘বিরোধীশূন্য’ করার অঙ্গীকার ছিল তাঁর। করে দেখিয়েওছেন। এ বার বিধানসভা ভোটের আগেও বীরভূমের সব ক’টি আসন তৃণমূলনেত্রীর হাতে তুলে দেবেন বলে কথা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল

Advertisement

রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি নির্দিষ্ট করে দিতে শুক্রবার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূলের প্রায় ৪০০ নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কেউই মমতাকে সে ভাবে আশ্বস্ত করতে পারেননি, যা করেছেন তাঁর বিশ্বস্ত কেষ্ট (অনুব্রতর ডাক নাম)। ভিডিয়ো-বৈঠকে দলনেত্রীকে তিনি যা জানিয়েছেন তার মর্মার্থ, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁর দায়িত্বে থাকা বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত (বীরভূম জেলার ১১ এবং বর্ধমান জেলার তিন) ১৪টি আসনের একটিও বিরোধীরা পাবেন না। সব ক’টিই জিতবে তৃণমূল। গোটা রাজ্যে বিজেপির উত্থানের সামনে তৃণমূলের আর কোনও জেলা সভাপতিই এ ভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেননি। দুই জেলার এই ১৪টি বিধানসভা আসনের ভার তাঁর হাতেই দিয়ে রেখেছেন মমতা।

ওই বৈঠকে জেলা ভিত্তিক সাংগঠনিক অবস্থা কাটাছেঁড়া করেন মমতা। এক-একটি জেলার সভাপতিদের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, কোথায় দলের অবস্থা ঠিক কেমন। সেই সূত্রেই বীরভূম নিয়ে আলোচনার সময় স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই মমতা ডেকে ওঠেন, ‘‘কেষ্ট, কেষ্ট কোথায়?’’ জেলায় নিজের অফিসঘর থেকেই অনুব্রত নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে নেত্রীকে তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকা সব আসনে জয় এনে দেবেন বলে কথা দেন। বরাবরই রাজনৈতিক চর্চায় থাকা অনুব্রতকে নিয়ে তখন থেকে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দুর্নীতির কথা বলুন সামনেই: অনুব্রত

তিনি কী ভাবে দলকে এই আশ্বাস দিলেন? অনুব্রত অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এটা পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে আমি কিছু বলব না।’’ তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতেই, এর আগে কখনও গুড়বাতাসা, কখনও নকুলদানা খাওয়ানো কখনও চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর কথা বলে অুনব্রত তাঁর জেলার ভোটে তৃণমূলের প্রাধান্য অটুট রেখেছেন। এ বার সব আসন জিতিয়ে আনার শপথও তাই তাৎপর্যপূর্ণ। বিধানসভা ভোট নিয়ে অনুব্রতর এই আশ্বাসকে অবশ্য রাজনীতিকের ‘স্পিরিট’ হিসেবেই দেখছেন দলীয় নেতৃত্ব। এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘‘কেউ তো ভোটে হারতে নামেন না। এই মানসিকতা সকলের প্রয়োজন।’’

দলের একাংশ বলছেন, ২০১৬ বিধানসভা ভোটের আগেও বীরভূম জেলার ১১টি আসন নিয়ে এই রকম ধারণা ছিল তাঁদের। কিন্তু দু’টি আসন বিরোধীরা পায়। তবে গোটা রাজ্যের মতো এখানেও গত কয়েক বছরে যে বিজেপির উত্থান হয়েছে, তাদের আসন এখানে নেই। বীরভূমের যে দু’টি আসনে তৃণমূল হেরেছে, সেই দু’টিই তাদের কাছ থেকে জিতে নিয়েছে কংগ্রেস ও বামেরা। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে অবশ্য বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসনেই উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বাড়িয়েছে বিজেপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement