সিপিএমকে ফের হুমকি অনুব্রতর

সভায় অনুব্রত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘‘সিপিএম যাতে মনোনয়ন তুলতে না পারে, সেটা আপনারা দেখবেন। তার পরে আমি দেখে নেব। জয়ঢাক বাজানো হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

রবিবার কেতুগ্রামের সভায় অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

এলাকায় বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে দলের নানা পক্ষ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই কেতুগ্রামে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডলের সভায় জড়ো হল সব পক্ষই। কোন্দল ভুলে ভোটের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিলেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতও। সেই সঙ্গে হুমকি দিলেন সিপিএম-কেও।

Advertisement

কেতুগ্রামের কান্দরা কলেজ মাঠে রবিবার বিকেলের সভায় অনুব্রত ছাড়াও ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ, দলের বীরভূমের নেতা অভিজিৎ সিংহ-সহ এলাকার নেতারা। সভার জন্য সকাল থেকেই ভিড় জমতে থাকে। উপচে পড়ে মাঠ। বিকেলে জায়গা না পেয়ে অনেকে ফিরেও যান। ভিড়ের জন্য সভাস্থল থেকে অনেকটা আগে আটকে যায় অনুব্রতর গাড়ি।

সভায় অনুব্রত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘‘সিপিএম যাতে মনোনয়ন তুলতে না পারে, সেটা আপনারা দেখবেন। তার পরে আমি দেখে নেব। জয়ঢাক বাজানো হবে।’’ এলাকায় দলের কর্মীদের তাঁর বার্তা, ‘‘সাহানেওয়াজই এখানে শেষ কথা। ও খুব সক্রিয়। বা়ড়ি-বাড়ি ঘুরে প্রচার করে। এলাকার কী সমস্যা রয়েছে, তা সাহানেওয়াজ দেখবে।’’ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীও বিধায়কই ঠিক করবেন বলে জানান তিনি। যা শুনে দলের কর্মীদের একাংশের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে ভোটে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে জন্যই এমন বার্তা দিলেন পর্যবেক্ষক। এ দিন সাহানেওয়াজ অনুব্রতর গলায় সোনার হার পরিয়ে দেন।

Advertisement

ভোটে প্রতিপক্ষ দলকে মনোনয়ন তুলতে না দেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি আগেও অনুব্রত দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। বীরভূমের বেশ কিছু কলেজে তৃণমূলের বাধায় বিরোধী সংগঠনগুলি মনোনয়ন তুলতে পারেনি বলে আগে অভিযোগ উঠেছিল। অনুব্রত তখনই বলেছিলেন, ‘‘এটা পঞ্চায়েত ভোটের ট্রেলার! এই মডেলেই পঞ্চায়েত ভোট হবে।’’ ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বীরভূমে এক তরফা ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেই ছবিই ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি সিপিএমের। দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘‘২০১১ থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট করিয়ে আসছে তৃণমূল। গোটা প্রক্রিয়া প্রহসনে পরিণত করেছে। তবে ওরা বুঝতে পারছে জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে। তাই এই সব বলতে হচ্ছে। আমরা কর্মীদের এ সব আমল না দিয়ে ময়দানে নামার বার্তা দেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement