ছবি পিটিআই।
সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে পদযাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশ এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আগে থেকে পুলিশের শীর্ষ স্তরে জানিয়েও ‘গ্রাম থেকে শহর পদযাত্রা’ শুরু করতে গিয়ে কেন এই অভিজ্ঞতা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে নাগরিকপঞ্জি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার দেউলি বাজার থেকে শুক্রবার বিকালে ওই পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ভাঙড়, হাড়োয়া, দেগঙ্গা, শাসন, রাজারহাট হয়ে পদযাত্রার শেষে ৫ মার্চ বিধাননগরে জনগণনা ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির কথা মঞ্চের তরফে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আইজি, ডিআইজি, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার এবং বিভিন্ন থানায় লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু মঞ্চের অভিযোগ, এ দিন দেউলি বাজারে পদযাত্রা শুরু করার আগেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার লোকজন মিছিলকারীদের হুমকি দেয়। পুলিশের সামনেই তৃণমূলের লোকজন মিছিল বন্ধ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও বিধায়ক সওকতের অভিযোগ, ‘‘এ সব কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
মঞ্চের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ বসুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি-র জন্যই গোটা দেশ অশান্ত। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জানিয়ে ও অনুমতি নিয়েই শান্তিপূর্ণ ভাবে আমরা আন্দোলন করতে চেয়েছি। এর মধ্যে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা এল কোথায়?’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘তৃণমূলের মনোভাব হল, তারা যতটুকু করবে, তার বাইরে কেউ কোনও প্রতিবাদ করতে পারবে না! আমরা গোড়া থেকে এনপিআর-এর বিরুদ্ধে বলে আসছি। আর তৃণমূলের সরকার এনপিআর-এর প্রশিক্ষণ শুরু করেও চাপে পড়ে স্থগিত রেখেছে।’’
বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘পদযাত্রা নিয়ে স্থানীয় থানা থেকে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। ঠিক কী ঘটেছে, তা খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’’ পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, দিল্লির ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় শান্তি বজার রাখতেই এ ধরনের কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আর সওকতের দাবি, ‘‘আমরা কোনও ভাবেই মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে দেব না।’’ তাঁর যুক্তি, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, এ রাজ্যে এনআরসি, এনপিআর, সিএএ চালু হতে দেবেন না। তাই অন্য কোনও সংগঠন এলাকায় এসে ‘অশান্তি’ সৃষ্টি করুক, তা কাঙ্খিত নয়।