বাবু-খুনে ধৃত আর এক বাবু

মধ্যমগ্রামে জোড়া খুনে ‘বাবু-ত্রিভূজ’ এবার সম্পূর্ণ হল বলে মনে করছে পুলিশ। জমি মাফিয়া বাবু সেন ও তার সঙ্গী খুনের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিল বাবু মণ্ডল নামে খুনের এক ষড়ন্ত্রকারী। এ বার ওই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হল বাবু ঘোষ নামে আরও এক প্রমোটার। সোমবার গভীর রাতে বাবু ঘোষকে লেকটাউনের বোট ক্লাব এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৫ ০৩:৩০
Share:

মধ্যমগ্রামে জোড়া খুনে ‘বাবু-ত্রিভূজ’ এবার সম্পূর্ণ হল বলে মনে করছে পুলিশ। জমি মাফিয়া বাবু সেন ও তার সঙ্গী খুনের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিল বাবু মণ্ডল নামে খুনের এক ষড়ন্ত্রকারী। এ বার ওই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হল বাবু ঘোষ নামে আরও এক প্রমোটার। সোমবার গভীর রাতে বাবু ঘোষকে লেকটাউনের বোট ক্লাব এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাবু ঘোষকে ধরার পর মধ্যমগ্রাম জোড়া খুন মামলার ত্রিভুজ সম্পূর্ণ হল।”

Advertisement

জোড়া খুনের ঘটনায় আগে ৭ জন ধরা পড়লেও পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেরিয়েছে বাবু ঘোষ। জেরায় বাবু জানিয়েছে, ধরা পড়ার আগের সাত দিন সে বাসে-বাসেই কাটিয়েছে। খুনের পর থেকে সে বনগাঁ, বসিরহাট হয়ে দীঘা চলে যায়। প্রত্যেকটি জায়গায় পুলিশ হানা দেওয়ার পরে সে তিন-তিন বার বাসে শিলিগুড়ি যাতায়াত করে। গ্যাংটকেও যায়। এরপরে আর জি কর হাসপাতালে রুগীর আত্মীয় সেজেও রাত কাটায়। সোমবার লেকটাউনে এক প্রমোটারের থেকে টাকা নেওয়ার সময় বাবুকে ধরে ফেলে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, জেরায় বাবু জানিয়েছে, বাবু সেনের খুনের সময়ে সে ঘটনাস্থলে ছিল সে। বাবু সেনকে খুন করার জন্য বাবু মণ্ডল তাকে প্রাথমিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল বলেও জেরায় বাবু ঘোষ জানিয়েছে, দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার বাবুকে বারাসত আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ৭ মে মধ্যমগ্রামের জনাকীর্ণ রাস্তায় গুলি চালিয়ে খুন করা হয় বাবু সেন ও তার সঙ্গী নুঙ্কাইকে। এই জোড়া খুনের ঘটনায় প্রদীপ দেব (পদ) এবং বাবু মণ্ডলকে ধরে পুলিশ। তারপরই উঠে আসে বাবু ঘোষের নাম। পুলিশের দাবি, বাবু সেন, বাবু মণ্ডল দু’জনেই প্রোমোটার। এলাকায় তারা পরিচিতি জমি-মাফিয়া হিসেবে। ইদানীং তাদের মধ্যে রেষারেষি চরমে ওঠে। বাবু মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছে, বাবু সেন তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। তার পরেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে বাবু মণ্ডল। তার জন্য বরাত দেওয়া হয় বাবু ঘোষ এবং পদকে। একসময়ে বাম নেতা মন্ত্রী ও পরে শাসক দল তৃণমূলের মন্ত্রী মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ বাবু মণ্ডল এই খুনের পরে গোঁফ দাড়ি কামিয়ে পালাবার চেষ্টা করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement