—প্রতীকী ছবি।
আইনেও প্রয়োজন সংশোধন। কারণ, আইনের কড়াকড়ি না থাকার জন্যই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানাকে মেরে জামিন পেয়েছেন দুই নার্স। বরাহনগরে প্রাণী কল্যাণ পর্ষদের রাজ্য স্তরের এক অনুষ্ঠানে এসে এমনই দাবি করলেন পর্ষদের সহ-সভাপতি দেবশ্রী রায়।
দেবশ্রী বলেন, ‘‘পশু-প্রাণীর উপরে অত্যাচার, হত্যার বিরুদ্ধে যে আইন রয়েছে তা বহু পুরনো। আইন আরও কড়া হলে তবেই অবলা জীবদের উপরে অত্যাচার বন্ধ হবে। রাজ্য স্তরে আরও কড়া আইন আনতে বিধানসভায় প্রস্তাব রাখব।’’ তাঁর সঙ্গে সহমত হন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘সাজার পরিমাণ বাড়াতে আমরা একসঙ্গে বিধানসভায় প্রস্তাব রাখব। তবে তার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে।’’ পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় রাজ্য প্রাণী কল্যাণ পর্ষদের কমিটি থাকলেও সেখানে কোনও বৈঠক হয় না বলে অভিযোগ করেন খোদ মন্ত্রীই।
যাঁরা পশু-পাখির উপরে অত্যাচার চালাচ্ছেন, তাঁরা ‘দুষ্কৃতী’র থেকে কোনও অংশে কম নয় বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী তাপস রায়। অনেক সময়ে কুকুর-বেড়ালকে মারার খবর পেয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ ওঠে। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে।’’ তিনি জানান, রাজ্যে এ মুহূর্তে পথ-কুকুরের সংখ্যা ৭০ লক্ষ। পশুদের জন্য বর্ধমানে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল বানানো হয়েছে। বিধাননগরে তৈরি হচ্ছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য প্রাণিসম্পদ এবং প্রাণী স্বাস্থ্য অধিকার দফতরের অধিকর্তা আনন্দগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়, পর্ষদের সদস্য পল্লব গুপ্ত-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা।