রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক চুরির তদন্তে নেমে হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ পুথি গাইতংপা-র হদিস পেয়েছিল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে সেটির ঠাঁই হল ভারতীয় জাদুঘরে।
ওই পুথি ও দু’টি প্রাচীন বুদ্ধমূর্তি যে-সিন্দুকে ছিল, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের উপস্থিতিতে শুক্রবার তার চাবি জাদুঘর-কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয় সিবিআই। তারা জানায়, রেজিস্ট্রার জেনারেলের সামনে সিন্দুক খুলে পুথি ও মূর্তি জিম্মায় নেন জাদুঘর-কর্তৃপক্ষ। ওই পুথিতে প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র লেখা রয়েছে। চার ফুট লম্বা, আড়াই ফুট চওড়া কাঠের তৈরি ওই পুথিতে রয়েছে ৩০৫ পৃষ্ঠা। প্রতিটি পাতাই আলাদা আলাদা কাঠের পাটা। পুথিটি আগাগোড়া সোনার জলে লেখা। পুরু কাঠের তৈরি মলাটে খোদাই করা আছে বুদ্ধমূর্তি। পুথির ওজন ৪০ কিলোগ্রাম। আন্তর্জাতিক বাজারে ওই পুথির দাম কয়েক কোটি টাকা। তার পুরাতাত্ত্বিক মূল্য অপরিসীম।
গাইতংপা-র হদিস পেয়ে ক্রেতা সেজে কালিম্পং থেকে পুথিটি উদ্ধার করে সিবিআই। তাদের কৌঁসুলি মহম্মদ আসরাফ আলি জানান, ২০১১ সালে ওই পুথি পাওয়া যায় কালিম্পংয়ের বাসিন্দা, তিব্বতি সন্ন্যাসী সুলেন লামার কাছ থেকে। সুলেন এবং তাঁর দুই পরিচিত ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। বিচার চলাকালীন সুলেন মারা যান এবং তদন্তে ফাঁক থাকায় সুলেনের পরিচিত সেই দুই ব্যক্তিও ছাড়া পেয়ে যান। তার পর থেকে পুথি পড়েছিল কালিম্পং আদালতের মালখানায়। সেই সঙ্গে দু’টি বুদ্ধমূর্তি ছ’বছর ধরে পড়ে রয়েছে বলে সাংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পরে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ সিন্দুকের চাবি রেজিস্ট্রার জেনারেলের হাতে দিতে বলে এবং নির্দেশ দেয়, রেজিস্ট্রার জেনারেলের উপস্থিতিতে সিন্দুকের চাবি খুলে পুথি বুঝে নিতে হবে জাদুঘর-কর্তৃপক্ষকে।