প্রতীকী ছবি।
আর্থিক অনটন থেকে অবসাদ। তা থেকেই কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে? বৃহস্পতিবারে লেক থানা এলাকায় বাস চালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর বৌবাজারে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে দু’জনেই আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ১০০ ডায়ালের মাধ্যমে আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বৌবাজার থানার পুলিশ। সেখানেই ৭০ বছরের নেপাল দাসের অচেতন দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্রাথমিক ভাবে নেপাল আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, নেপাল তাঁদের পরিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর দেনার বোঝা এবং ইএমআই নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি তিনি আর্থিক কারণেই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন? পুলিশ নেপালের স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ঘটনার দিন তাঁর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। এবং সিলিং ফ্যান থেকে শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকুরিয়ার বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসের মধ্যেই উদ্ধার হয় বাস চালক রঞ্জিত দাসের ঝুলন্ত দেহ। অভাবের কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে প্রাথমিক ধারণা। করোনাকালে লকডাউনে অনেকের কাজেই ভাটা পড়েছে। রোজগার কমেছে। মনোবিদরাও জানাচ্ছেন, আর্থিক অনটন দুশ্চিন্তার জন্ম দিচ্ছে। তা থেকে বাড়ছে অবসাদ এবং সেখান থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে।