ঝাড়গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা বীরসা মুন্ডার পাঁচটি মূর্তির উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রসঙ্গে মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যকে ঘিরে উত্তাল দেশের রাজনীতি। তারই মধ্যে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে ঝটিকা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা বীরসা মুন্ডার পাঁচটি মূর্তির উদ্বোধন করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। জঙ্গলমহলের চারটি জায়গা এবং উত্তরবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে মূর্তিগুলি স্থাপন করার বন্দোবস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির অনুষ্ঠান থেকে তিনি ভার্চুয়ালি একসঙ্গে মূর্তিগুলির উদ্বোধন করবেন। এই মুহূর্তে মন্ত্রী অখিলের মন্তব্যে বেজায় চাপে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্য সরকার। যদিও প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে অখিলের রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে করা মন্তব্যের নিন্দা করেছে তৃণমূল। সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে অখিলের মন্তব্যের দায় দল বহন করবে না। তা সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব বিষয়টিকে নিয়ে জাতীয় স্তরে সরব হয়েছে। মন্ত্রী অখিলের পদত্যাগের দাবি তুলে তৃণমূলকে আদিবাসী বিরোধী বলেও আক্রমণ চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির।
এই পরিস্থিতিতে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বীরসা মুন্ডা আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে বীরত্বের প্রতীক, তাদের কাছে গর্বের বিষয়ও বটে। আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে তাঁর মূর্তি স্থাপন করে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ফেরানোই আপাতত লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর, এমনটাই মনে করছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের মতে, অখিলের করা মন্তব্য নিয়ে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাতেই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। কারণ শুক্রবার নন্দীগ্রামে অখিলের করা মন্তব্যের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছেন মমতা। তাই মনে করা হচ্ছে আদিবাসীদের মন পেতে দেশের রাষ্ট্রপতির সম্মানে নিজের মতামত জানাতে পারেন তিনি। তবে নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর বীরসা মুন্ডার মূর্তি উদ্বোধনের সঙ্গে অখিলের মন্তব্যের কোনও যোগাযোগ নেই। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান পূর্ব নির্ধারিত ছিল। কাকতালীয় ভাবে কারামন্ত্রী ওই বক্তব্য পেশ করে ফেলেছেন এখনই। তাই দুটি বিষয়কে কখনওই এক করে দেখা উচিত নয়। তবে মঙ্গলবার জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের দিকে নজর থাকবে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদেরও।