ভোটে ‘ছাগল’ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে। অভিযোগ পৌঁছেছে নির্বাচন কমিশনের কাছেও। অভিযোগ, চানঘাট এলাকায় গ্রামের বাসিন্দাদের জড়ো করে পরিবার পিছু একটি করে ছাগল বিলি করেছে তৃণমূল। শনিবার বিকেল থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসিন্দাদের মধ্যে ছাগল বিলি করা হয়। পরিবর্তে ভোট চাওয়া হয় তাঁদের কাছে।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছনোর আগেই ছাগল বিলির কাজ শেষ হয় বলে দাবি করেছে সিপিএম। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ওই এলাকার তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী বিধায়ক হিতেন বর্মন অবশ্য এমন অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “সিপিএম প্রচারে লোক পাচ্ছে না। তাই হতাশ হয়ে এমন অভিযোগ করছে। আমরা এলাকার এত উন্নয়ন করেছি যে ভোটের সময় কিছু বিলির প্রয়োজন হয় না।” শীতলখুচি ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি আবেদ আলি মিয়াঁ বলেন, “জেলা পরিষদের একটি প্রকল্পে সাধারণ মানুষ ছাগল পান। যাদের নাম তালিকায় রয়েছে, তাঁরাই ওই ছাগল পেয়েছেন। ওই এলাকায় অনেকে ওই প্রকল্পে ছাগল পেয়েছেন। এর সঙ্গে ভোটের কোনও যোগ নেই।”
ওই এলাকার সিপিএম প্রার্থী নমোদীপ্তি অধিকারী দাবি করেন, ওই গ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ৪০০টি ছাগল বিলি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “তৃণমূল নানা ভাবে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। ছাগল বিলি করে গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে ভোট চাইছে তাঁরা। কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পেয়েছি।” সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, তৃণমূল ভোটে জিততে টাকাও বিলি করা শুরু করেছে। জেলার ৯টি বিধানসভা আসনের বহু এলাকাতেই এমনটা হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রচারে নেমে সাড়া না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে বাম জোট। তাই এমন অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।”