Calcutta University

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও হস্টেল দখলের অভিযোগ

গবেষকদের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা হস্টেল থাকলেও এক গবেষক সেখানে না থেকে কারমাইকেল হস্টেলের একটি ঘর দখল করে রেখেছেন বছরের পর বছর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৫৭
Share:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর পরে হস্টেলে প্রাক্তনীদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, প্রাক্তনীরা অনেকেই হস্টেলে ঘর দখল করে রেখে দেওয়ায়, বর্তমান পড়ুয়াদের অনেকেই হস্টেলে থাকার সুবিধা পান না।

Advertisement

এই অভিযোগের পরেও যে টনক নড়েনি, তার টাটকা প্রমাণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার সেখানকার হস্টেলও বহিরাগতদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, বৈঠকখানা রোডে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর আবাসিক পড়ুয়াদের ‘কারমাইকেল হস্টেলে’ প্রাক্তন আবাসিকদের দাপটে বর্তমান পড়ুয়াদের অনেকে থাকার জায়গা পাচ্ছেন না। শুধু নিজেরা নয়, অভিযোগ, প্রাক্তনেরা তাঁদের পরিচিতদেরও হস্টেলে এনে রাখছেন এবং দাদাগিরি চালাচ্ছেন। হস্টেলের আবাসিকদের একাংশের অভিযোগ, বিষয়টা তাঁরা অনেক বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সম্প্রতি তাঁরা পুরো বিষয়টি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও চিঠি লিখে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি।

হস্টেলের বর্তমান আবাসিকেরা জানাচ্ছেন, বৈঠকখানা রোডে দু’টি ভবন নিয়ে সংখ্যালঘুদের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হস্টেল। দু’টি ভবন মিলিয়ে ৯০টি ঘর। আবাসিকের সংখ্যা আনুমানিক ৪৩০ জন। অভিযোগ, ৫০ জনের আবাসিক বর্তমানে ছাত্র নন। কয়েক জন নির্দিষ্ট আবাসিকের প্রতি অভিযোগ তুলে কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছেন অন্যরা। উদাহরণ দিয়ে জানিয়েছেন, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে পাস করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছর তিন আগে বেরিয়ে যাওয়া বাংলা বিভাগের এক ছাত্র এখনও হস্টেলে নিজের ঘরে থাকছেন। অভিযোগ, কখনও বাইরে থেকে বন্ধু-বান্ধবদের এনেও রাখেন।

Advertisement

গবেষকদের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা হস্টেল থাকলেও এক গবেষক সেখানে না থেকে কারমাইকেল হস্টেলের একটি ঘর দখল করে রেখেছেন বছরের পর বছর। অভিযোগ, তিনিও নাকি বেশ কয়েক জনকে মাঝেমধ্যে থাকতে দেন। এই দাদাদের র‌্যাগিংয়ের শিকারও হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হস্টেলের আবাসিকদের একাংশের অভিযোগ, যাদবপুরের মত ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে, তার জন্য তাঁরা ইতিমধ্যেই বহু বার হস্টেল কর্তৃপক্ষ, অন্তর্বর্তী উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছেন। এ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-কে ফোন ও মেসেজ করা হয়। কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement