ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের লাগাতার বিরোধের আবহেই এ বার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় এফআইআর করলেন সুদীপ্তবাবু। নিজের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ‘ক্রমাগত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রেরিত বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা লাঞ্ছিত’ হতে হচ্ছে বলে থানায় অভিযোগ করেন ওই অধ্যাপক। লাগাতার ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। অভিযোগপত্রে নিজের ও পরিবারের ব্যক্তিগত পরিসর সুরক্ষিত রাখার আর্জির পাশাপাশি বিশ্বভারতীর কর্মসচিব ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিও রাখা হয়েছে।
রবিবার বোলপুর থানায় এই অভিযোগ করেছেন সুদীপ্তবাবু। অমর্ত্য সেন সম্পর্কিত উপাচার্যের বক্তব্যের সময় থেকেই বিশ্বভারতীর সঙ্গে সুদীপ্তবাবুর বিরোধের তীব্রতা বেড়েছিল। এর পরে বিভিন্ন ঘটনায় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, শো-কজের ঘটনাও ঘটেছে। শেষ পর্যন্ত সুদীপ্তবাবুকে সাসপেন্ড করেন কর্তৃপক্ষ। এর পরেও বিরোধ যে চলছেই এই পুলিশে অভিযোগই যার প্রমাণ।
সাসপেনশনের বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তাঁদের অনুমতি ছাড়া সুদীপ্তবাবু শান্তিনিকেতন ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না। সুদীপ্তবাবুর অভিযোগ, ৬ মার্চ কর্মসচিবকে জানিয়ে তিনি শান্তিনিকেতনের বাইরে গিয়েছিলেন। তার পরেও, ৯ মার্চ এক বার্তাবাহকের মাধ্যমে তাঁর বাড়িতে বিশেষ বার্তা পাঠানোর কথা সুদীপ্তবাবুকে জানান কর্মসচিব। সেই সময়ে সুদীপ্তবাবুকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সুদীপ্তবাবুর কথায়, ‘‘এটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সামিল।”
এর পরে ১৩ ও ১৬ মার্চ তাঁর বাড়িতে বেশ কয়েক জন অচেনা মানুষ হানা দেয় এবং নিজেদের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের প্রেরিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলে অভিযোগ করেছেন সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। পুলিশের কাছে করা সব অভিযোগ ও মামলা প্রত্যাহার না-করা হলে বেতন বন্ধের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ সুদীপ্তবাবুর। ওই অপরিচিত ব্যক্তিরা তাঁকে ‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দ্বারা এক প্রকার গৃহবন্দি ও নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে’ বলে শাসিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
গোটা ঘটনা উল্লেখ করে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা চেয়ে এবং দোষীদের শাস্তির দাবি রেখে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগগুলি সম্পর্কে বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।