পড়ুয়া হতে হবে। বয়স হতে হবে আঠারো-ঊর্ধ্ব। তবে কোনও ভাবেই সে ‘কন্যা’ বিবাহিত হলে চলবে না। রাজ্য সরকারের পড়ুয়া-ভাতা ‘কন্যাশ্রী’ প্রপ্তির প্রথম দু’টি শর্ত পূরণ করলেও মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের এক ছাত্রী ওই ভাতা পাওয়ার পরে বসে পড়েছে বিয়ের পিঁড়িতে। স্কুল কর্তৃপক্ষ চোখ বুজে থাকলেও প্রতিবাদ করছেন এলাকার বিবাহিত ছাত্রীরা। দাবি, কন্যাশ্রীর এককালীন ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে তাঁদেরও।
বেলডাঙার মহুলার স্বামী অখণ্ডানন্দ বালিকা বিদ্যামন্দিরের সামনে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। ওই বিবাহিত ছাত্রীদের পরিবারও সেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। দাবি, এলাকার ‘ভাবতা নেতাজি হাইস্কুলের’ এক বিবাহিত ছাত্রী কন্যাশ্রীর এককালীন ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। তা হলে তাঁদের মেয়েরা পাবেন না কেন? ভাবতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী বিবাহিত কিনা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে বিয়ে হয়ে থাকলে তা হয়েছে কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়ার পরে।’’ তাঁর দাবি, তাঁদের কিছু করার নেই। বেলডাঙার মহুলা ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সম্মানি মণ্ডল নামে ওই সদ্য-তরুণীর বাবা সুনীল মণ্ডল অবশ্য বলছেন, ‘‘দিনমজুরি করে সংসার চালাই। অত নিয়ম কানুন জানি না।
মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মেয়ের টাকা সংসারের প্রয়োজনেও লেগেছে।’’ বেলডাঙা ১ বিডিও শুভ্রাংশু মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৪ থেকে ১৮ বছরের ছাত্রীদের পরিবারের বাৎসরিক আয় ৬০ হাজার টাকার কম হলে তারা বছরে ৫০০ টাকা করে কন্যাশ্রী ভাতা পাবেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে পড়ুয়া রয়েছেন তাঁরা পাবেন এক কালীন ২৫ হাজার টাকা।