লকডাউনের দিন ফের পরিবর্তন বা অন্য কোনও অনিবার্য কারণ না ঘটলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির স্মরণ-সভার সম্ভাব্য দিন হতে চলেছে ২৬ অগস্ট।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের স্মরণ-সভায় আমন্ত্রিত হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলই। তৃণমূল ও বামেদের পাশাপাশি সেই তালিকায় থাকছে বিজেপিও। সোমেনবাবুর পরিবারের আয়োজনে তাঁর শ্রাদ্ধ-বাসরেও একই ছবি।
লকডাউনের দিন ফের পরিবর্তন বা অন্য কোনও অনিবার্য কারণ না ঘটলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির স্মরণ-সভার সম্ভাব্য দিন হতে চলেছে ২৬ অগস্ট। স্মরণ-সভার জন্য ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ব্যবহার করতে চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে। সোমেনবাবুর প্রয়াণের পরে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিধান ভবন এবং আমহার্স্ট স্ট্রিটে তাঁর পুরনো বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি এবং বামফ্রন্টের বিভিন্ন শরিক দলের নেতৃত্ব। বিধানসভাতেও হাজির ছিলেন নানা দলের নেতা-বিধায়কেরা। ওই সব দলের কাছেই স্মরণ-সভার আমন্ত্রণ-পত্র পাঠানো হচ্ছে। আর লোয়ার রডন স্ট্রিটে সোমেনবাবুর এখনকার ঠিকানায় ১০ অগস্ট শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সোমেনবাবুর পরিবারের তরফে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে কার্ড পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র শুক্রবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও মুরলীধর সেন লেনে গিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি নেতাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন। বিধানসভায় গিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে দেখা করে তাঁকেও আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ করেছেন। সোমেনবাবুর শেষ যাত্রায় ভিড় হয়েছিল বিপুল। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে করোনা-বিধি মেনে চলার জন্য আবেদন করা হয়েছে তাঁর পরিবারের তরফে। রোহন জানিয়েছেন, পরিবারের তরফে সোমেনবাবুকে নিয়ে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করা হবে। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘সব দলের নেতৃত্বের সঙ্গেই ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ ছিল সোমেনবাবুর। এখন যাঁরা তৃণমূল বা বিজেপিতে আছেন, তাঁদের অনেকেই এক সময়ে কংগ্রেসে সোমেনবাবুর সঙ্গে দল করেছেন। শেষ শ্রদ্ধা জানাতেও সকলে এসেছেন। তাঁদের সকলকেই আমরা স্মরণ-সভায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: বাজারের হাল আরও খারাপের দিকে, মানল রিজার্ভ ব্যাঙ্কও
আরও পড়ুন: ‘মোদীর বাংলা’ গড়ার ডাক, ৩ কোটি সদস্যপদের অভিযানে বিজেপি
প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে অবশ্য এআইসিসি এখনও আলোচনা চালাচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সব নেতার সঙ্গেই একাধিক বার কথা বলেছেন এআইসিসি-র নেতৃত্ব। তবে সম্ভাব্য যাঁদের নাম নিয়ে আলোচনা আছে, তাঁদের মধ্যে অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান এআইসিসি-কে জানিয়েছেন, তাঁরা কেউই তাঁদের বর্তমান পদ ছেড়ে দিয়ে প্রদেশ সভাপতির আসনে বসতে আগ্রহী নন।