ছবি: সংগৃহীত।
শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলেরই আবেদন আরও জোরালো হয়েছে শনিবার। একমাত্র বিজেপির শান্তির আবেদন কিছুটা শর্তসাপেক্ষ। তাদের বক্তব্য, শান্তি-সম্প্রীতি রাখতে হবে। তবে তা ‘আত্মরক্ষা’ বাদ দিয়ে নয়। রাজ্যে অশান্তির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছে তারা।
অন্য দিকে, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ দিন শান্তির অবেদন জানিয়ে বলেন, ‘‘অরাজকতা করে বিজেপির হাত শক্ত করবেন না। নয়া নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি হিন্দু-মুসলমানের লড়াই নয়। একটা সম্প্রদায় অরাজকতা করলে সংখ্যাগরিষ্ঠদের যদি বিদ্বেষ তৈরি হয়, তা হলে বিজেপিরই লাভ হবে।’’ নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে আগামিকাল, সোমবার থেকে তিন দিন কলকাতা এবং হাওড়ায় মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ফিরহাদের বক্তব্য, অশান্তি পথ নয়, সবার উচিত মমতার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘এই আন্দোলনে তৃণমূলের প্রতি মানুষের আক্রোশ তৈরি হবে। গন্ডগোল বাড়লে জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন। আর বিজেপির অনুকূলে হাওয়া চলে আসবে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন শিলিগুড়িতে অন্য সুরে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার হিংসা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারছে না। না পারলে তারা কেন্দ্রকে জানাক। তবে কেন্দ্র জোর করে হস্তক্ষেপ করবে না।’’
আরও পড়ুন: গোর্খাদের আশ্বাস দিলীপের
শান্তির আবেদন জানিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘মানুষের ক্ষোভ তো সব সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হয়। তবে প্রশাসন সতর্ক আছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে শান্তি রক্ষার আবেদন করছেন। এই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে না।’’
শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। বাঁকুড়ার কমরার মাঠে একটি সভায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “যা হচ্ছে দেশে, তাতে মানুষ প্রতিবাদ করবেন। তবে অহেতুক আতঙ্কিত হলে আন্দোলনের লক্ষ্য পূরণ হবে না। শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করুন।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রেরও আবেদন, ‘‘আন্দোলনের নামে কেউ ধ্বংসাত্মক কাজ করবেন না। কংগ্রেস অহিংসা সত্যাগ্রহের পথেই আন্দোলন চালাবে।’’ বিজেপি জানিয়েছে তারা ‘শান্তি মিছিল’ করবে ২৩ ডিসেম্বর।