খাদিম কর্তা মামলা নিয়ে সংশয়ে কোর্ট

দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই অপহরণের ঘটনায় আরও আট জন অভিযুক্তের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার মুখে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এ বছরের অক্টোবরের মধ্যে এই মামলার সাজা ঘোষণা করতে হবে। তবে সেই নির্দেশ কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আলিপুর আদালত।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
Share:

পার্থ রায়বর্মণ।

নির্ধারিত সময়ে খাদিম কর্তা পার্থ রায়বর্মণ অপহরণ মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষ্পত্তি নিয়ে সংশয়ে আলিপুর আদালত।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে খাদিম কর্তা অপহরণ মামলায় আফতাব আনসারি-সহ পাঁচ জনের সাজা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই অপহরণের ঘটনায় আরও আট জন অভিযুক্তের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার মুখে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এ বছরের অক্টোবরের মধ্যে এই মামলার সাজা ঘোষণা করতে হবে। তবে সেই নির্দেশ কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আলিপুর আদালত।

খাদিম মামলার বিচার চলছে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বিশেষ আদালতে। মাস খানেক ধরে সেখানে মামলা শুনছেন বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সাক্ষীর সংখ্যা ৬৮। আদালত সূত্রের খবর, বিচার প্রক্রিয়ার তিনটি ধাপ বাকি রয়েছে। প্রথম ধাপে সব অভিযুক্তকেই সাক্ষীদের বয়ান শোনাতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে চলবে দু’পক্ষের সওয়াল। তৃতীয় ধাপে রায় দান। আলিপুর আদালত সূত্রের খবর, আগামী সোমবার থেকে পুজোর ছুটি শুরু হচ্ছে। থাকবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মামলার নিষ্পত্তির জন্য হাতে থাকবে মাত্র ৮টি দিন। এর মধ্যে নুর মহম্মদ নামে এক অভিযুক্ত অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কবে ছাড়া পাবে ঠিক নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন:তৃণমূলের জেতা বুথ লাল রঙে দাগাচ্ছেন মুকুল

আলিপুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচার প্রক্রিয়া ২০১৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরে রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অতিরিক্ত সময়সীমা প্রার্থনা করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট ওই আবেদন মঞ্জুরও করে এক বছর বাড়িয়ে দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত প্রথম ধাপে মাত্র চার জন আসামিকে সাক্ষীর বয়ান শোনানো গিয়েছে। আরও চার জন আসামিকে এই কাজ বাকি। তার পরে রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের প্রক্রিয়া।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালের ২৫ জুলাই খাদিম কর্তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। সিআইডি সূত্রের খবর, মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দেওয়ার পরে অগস্টে ছাড়া পান খাদিম কর্তা।

পাঁচ বছরেও বিচার প্রক্রিয়া শেষ হল না কেন? মামলার সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘দ্বিতীয় পর্যায়ে আট জন অভিযুক্তের অধিকাংশ দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মামলায় অভিযুক্ত। তারা নির্দিষ্ট শুনানির দিনে হাজির হননি। এ ছাড়া নুর মহম্মদ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সেটাও একটা কারণ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement