প্রতীকী ছবি।
কলকাতা স্টেশনের পর এ বার শিয়ালদহ। শুক্রবার সকালে শিয়ালদহের জগত্ সিনেমার কাছ থেকে আরও এক আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধৃতের নাম সাহাদাত হুসেন ওরফে বাবু।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ধৃত আল কায়দার দুই সদস্য
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ধৃত জঙ্গি আল কায়দা স্লিপার সেলের সক্রিয় সদস্য। এই সাহাদাত-ই রিয়াজুল ও তনবিরকে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় সাদানের কয়েক জন আত্মীয় থাকে। তাদের সাহায্য নিয়েই সাদান ওই দুই বাংলাদেশি জঙ্গিকে সীমান্ত পার করায়। এসটিএফ মনে করছে, শুধু তনবির বা রিয়াজুলই নয়, আরও বেশ কয়েক জনকে এ দেশে এনেছে সাদান। ধৃত সাহাদাতকে জেরা করে শহরে জঙ্গি মডিউল সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসবে বলেও তদন্তকারীদের ধারণা।
আরও পড়ুন: এনআইএ-র জেরা আনসার জঙ্গিদের
গত ২১ নভেম্বর কলকাতা স্টেশন থেকে তনবির ও রিয়াজুল নামে দুই আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে লালবাজারের এসটিএফ। এই দু’জন ভারতে বেআইনি ভাবে ঢুকেছিল। গত এক-দেড় বছর তারা ভারতেই ছিল। ধৃতদের কোনও পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। ডিসি (এসটিএফ) মুরলীধর শর্মা জানান, তনবিরের বাড়ি শ্রীহট্টে। রিয়াজুল খুলনার বাসিন্দা। আনসারুল্লা বাংলা টিম-এর (এবিটি) একটি শাখার প্রধান এই তনবির। সে বাংলাদেশে একাধিক মুক্তমনা ব্লগারকে খুনের মামলায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। এই দু’জনের সঙ্গে বসিরহাটের বাসিন্দা মনোতোষ দে ওরফে মনাও গ্রেফতার করা হয়। এসটিএফের দাবি, ওই ব্যক্তি বেআইনি অস্ত্রের কারবারি। তার কাছ থেকে ভাল মানের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল এবিটি-র ওই সদস্যদের। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি কার্তুজ, গুলির কিছু ম্যাগাজিন, বোমা তৈরির সার্কিট উদ্ধার করা হয়। আল কায়দা সংক্রান্ত প্রচুর নথিও মেলে।