অজয় এডওয়ার্ড। —ফাইল চিত্র।
পাহাড় সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান, ১১ জনজাতিকে তফসিলি স্বীকৃতি বা চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি— ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে দেওয়া এই প্রতিশ্রুতিগুলির কতটা পালন করা হয়েছে? শুক্রবার এই প্রশ্ন তুললেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। এ দিন তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাকে দেওয়া এক চিঠিতে এই প্রশ্নগুলির পাশাপাশি জানান, বিজেপি প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে না পারলে তাদের সমর্থন করবে না হামরো পার্টি। উল্টে, উত্তরবঙ্গের সব ক’টি লোকসভা আসনে গোর্খা প্রভাবিত এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে বাধ্য হবে তারা।
চিঠি পেয়ে বিজেপি তৎপর হলেও, রাজু বিস্তার দাবি, ‘‘আমাদের এখনও কেন্দ্রের উপরে ভরসা রাখতে হবে।’’
আগামী সপ্তাহে শুরু হতে চলা লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাহাড়ের কোনও বিষয় বা বিল না-থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই ‘অস্বস্তিতে’ বিজেপি ও সহযোগী শিবির৷ দিল্লিতে যোগাযোগ শুরু করেছে বিজেপির সহযোগী জিএনএলএফ৷ রাজুও নানা স্তরে আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস তা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছিল। এ দিনও সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বিনয় তামাং ফের বলেন, ‘‘বিজেপি পাহাড়বাসীকে ধোঁকা দিয়েছে। পাহাড়ের গোর্খারা তো বটেই, দেশের ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের গোর্খারাও বিজেপিকে উচিত জবাব দেবেন।’’
২০০৯ সাল থেকে লোকসভা ভোটে দার্জিলিং আসনে জিতেছে বিজেপি। প্রতি বারই তারা পাহাড়-সমস্যা মেটানো, ১১ জনজাতির তফসিলি স্বীকৃতি ছাড়াও, কেন্দ্রীয় স্তর থেকে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অজয় বলেন, ‘‘বিজেপি ২০১৯ সালে সংকল্পপত্রে পাহাড়ের বিষয়গুলি রেখেছিল। পাহাড়বাসী তা বিশ্বাস করে বার বার ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এ বার আর তা হবে না। প্রতিশ্রুতি পালন হলে ভোট, নইলে বিরোধিতা হবে।’’
কেন্দ্রীয় স্তরে পাহাড় নিয়ে কোনও ঘোষণা, সিদ্ধান্ত না হলে আগামী ভোটে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, তা আঁচ করতে পারছেন বিজেপি নেতৃত্ব। রাজুর দাবি, ‘‘লোকসভার অধিবেশন চলাকালীনও বিল আসতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে, সেখানে আমাদের নজর রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে কথাও বলেছি। কেন্দ্র পাহাড়ের জন্য ভোটের আগে কিছু করবেই।’’