প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনের কাজে টাকা খরচ করেও ফেরত পাওয়া যায়নি। বকেয়া সেই টাকার দাবিতে বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডলের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীদের একাংশ। কেউ আবার তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুললেন। দুধকুমার অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনে দেওয়াল লিখন সহ নানা কাজের জন্য দলের তরফে সরাসরি প্রার্থীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। খরচ অনুযায়ী সেই টাকা বুথ থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত মিটিয়ে দেন প্রার্থী। দুধকুমার এ বারে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন। সেই হিসেবে তাঁর অ্যাকাউন্টেও বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ঢোকে বলে দলীয় সূত্রের খবর। সেই টাকা দুধকুমার পরে মিটিয়ে দেননি বলে অভিযোগ।
বকেয়া টাকার দাবিতে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা এলাকার বেশ কিছু ব্লক সভাপতি, বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখরা দুধকুমারের কোটাসুরের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান। উভয়পক্ষের বচসাও হয়। রামপুরহাট ১ ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সভাপতি প্রদীপ মণ্ডল এবং মুকুল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ব্লকে ১৫২টি বুথ আছে। বুথ প্রতি ন্যূনতম খরচ হয়েছে প্রায় ২০০০ টাকা। অথচ দেওয়া হয়েছে মোট ৪০ হাজার টাকা। এ দিকে যাঁরা টাকা পাবেন, তাঁরা আমাদের ছিঁড়ে খাচ্ছেন।’’ রামপুরহাট বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কালীদাস পালেরও অভিযোগ, বীরভূম লোকসভা অধিকাংশ জায়গাতেই কর্মীরা টাকা পাবেন।
দুধকুমার অবশ্য বলছেন, ‘‘যাঁরা যা বলার বলুন। আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’ বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল জানান, লোকসভা নির্বাচনের সময়ে রাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন। তাই জেলায় কী হয়েছে, বলতে পারবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘তবে যাই হয়ে থাকুক না কেন, দলের একজন কার্যকর্তার বাড়িতে অন্য কার্যকর্তাদের বিক্ষোভ দেখাতে যাওয়াটা ঠিক হয়নি।’’
এ নিয়ে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘যাঁরা অন্যের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা নিজেরাই কত অসত সেটা দলের লোকেরা বলে দিল।’’ তৃণমূলের আর এক নেতার টিপ্পনি, ‘‘এত তো এক রকমের কাটমানি! যাকে বলে দুধে-জল মেশানো।’’